আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম - কেন্দুয়া কলেজ EIIN: 113076
  • রিসেপশন
  • + (88) 01711230814
  • ই-মেইল
  • kendua.com@gmail.com
  • অফিস: লোকেশন
  • কেন্দুয়া পৌরসভা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা।






  • দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক।  ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ দি সিটি ব্যাংক তাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ নিবন্ধিত।


    সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর | সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন সম্পর্কে বিস্তারিত
    সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর


    সিটি ব্যাংক এর লোনের বৈশিষ্ট্য

    সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে সিটি ব্যাংক এর লোনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আগে জানতে হবে।সিটি ব্যাংক এর লোনের কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো-

    • এখান থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা লোন নেওয়া যাবে।
    • সর্বোচ্চ লোনের পরিমাণ ২ কোটি টাকা।
    • যানবহনের ক্ষেত্রে মোট মূল্যের ৫০% পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে।
    • সিটি ব্যাংক এর লোনের কোনো হিডেন চার্জ নেই।


    যে যে ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক লোন দেয়

    সিটি ব্যাংক মোট ৪ ধরণের লোন প্রদান করে থাকে। যে যে ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক লোন দেয় সেগুলো হলো-

    • অটো লোন
    • পার্সোনাল লোন
    • হোম লোন
    • সিটি বাইক লোন

    সিটি ব্যাংক গ্রাহকগণকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে এই চার ধরণের লোন দিয়ে থাকে। এই লোন গুলোর মধ্যে একেক ধরণের লোন নেওয়ার জন্য একেকধরণের রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।


    সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন

    সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন হলো অল্প আয়ের মানুষদের জন্য সিটি ব্যাংকের একটি লোন প্যাকেজ। এই প্যাকেজ থেকে সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন বা ঋণ নেওয়া যাবে। পার্সোনাল লোনের সময়সীমা হলো ১২ থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত।


    পার্সোনাল লোনের বৈশিষ্ট্য

    সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

    • সর্বনিম্ন লোন ১ লক্ষ টাকা।
    • সর্বোচ্চ লোন ২০ লক্ষ টাকা
    • লোনের সময়সীমা হলো ১২ থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত।
    • কোনো লুকায়িত চার্জ নেই।
    • তুলনামূলক ইন্টারেস্ট রেট।

    পার্সোনাল লোন নেওয়ার যোগ্যতা

    সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন। পার্সোনাল লোন নেওয়ার যোগ্যতাগুলো হলো-


    বয়সসীমা

    • পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহককের বয়স ২২ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।


    অভিজ্ঞতা

    • বেতনভোগী কর্মকর্তা: ন্যূনতম ১ বছর
    • পেশাদার: ন্যূনতম ২ বছরের অনুশীলন
    • ব্যবসায়ী: ন্যূনতম ৩ বছর


    মাসিক আয়

    • বেতনভোগী কর্মকর্তা: ২০,০০০ টাকা
    • বাড়িওয়ালা: ৩০,০০০ টাকা
    • পেশাদার: ৫০,০০০ টাকা
    • ব্যবসায়ী ব্যক্তি: ৫০,০০০ টাকা


    পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা নিচে পিডিএফ আকারে দেওয়া হলো

    • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


    সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর

    সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর হলো সিটি ব্যাংকের লোনের পরিমাপ, ইন্টারেস্ট রেট, সময়সীমা হিসাব করার জন্য একটি ক্যালকুলেটর। সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে অটো লোন, পার্সোনাল লোন, হোম লোন এবং সিটি বাইক লোনের পরিমাপ, ইন্টারেস্ট রেট, সময়সীমা হিসাব হিসাব করা যাবে। এর জন্য-


    ১। প্রথমে এই লিংক  এ প্রবেশ করে সিটি ব্যাংক এর লোন নেওয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।


    ২। এরপর নিচের দিকে স্ক্রল করে Taking a loan? Calculate your EMI সেকশনে আসতে হবে।


    ৩। সেখান থেকে Loan Amount অংশে লোনের পরিমাণ, Tenure অংশে সময়সীমা এবং Interest Rate অংশে ইন্টারেস্টের পরিমাণ দিতে হবে।


    ৪। এরপর Calculate EMI বাটনে ক্লিক করলে EMI এর পরিমাণ দেখা যাবে।


    এভাবে খুব সহজেই সিটি ব্যাংক লোন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের লোনের পরিমাপ, ইন্টারেস্ট রেট, সময়সীমা প্রদান করে EMI এর পরিমাণ হিসাব করা যায়।







    পিডিএফ (PDF) হলো একধরণের ফাইল ফরম্যাট। পিডিএফ এর মাধ্যমে বিভিন্ন টেক্সট, ছবি, গ্রাফিক্স ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায়। পিডিএফ এর পূর্নরূপ হলো Portable Document Format. পিডিএফ ফাইল ফরম্যাটটি ১৯৯২ সালে Adobe কোম্পানি তৈরী করে।


    The Camelot Project এর মাধ্যমে Adobe এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. জন ওয়ার্নক ১৯৯১ সালে একটি ধারণার মাধ্যমে কাগজ থেকে ডিজিটাল বিপ্লবের সূচনা করেন। এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ছিল কেউ যাতে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন থেকে ডুকুমেন্ট সংগ্রহ, ইলেক্ট্রনিক উপায়ে সংরক্ষণ, সরবরাহ এবং মুদ্রণ করতে পারে। ১৯৯২ সালে ক্যামলেট, পিডিএফ এ রুপান্তরিত হয়েছিল। বর্তমানে পিডিএফ একটি বিশ্বস্ত ফাইল ফরম্যাট।


    পিডিএফ সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায় ২০২২


    পিডিএফ পড়ার উপায়

    পিডিএফ যেকোনো ভাবেই খোলা বা পড়া যায় না। পিডিএফ পড়ার জন্য বিশেষায়িত সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হয়। পিডিএফ পড়ার জন্য বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার বা অ্যাপস রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো Adobe Acrobat Reader, Foxit Reader, Javelin PDF Reader, Google Drive, Nitro Reader, PDF-XChange Editor, MuPDF, SumatraPDF ইত্যাদি।


    পিডিএফ পড়ার জন্য বিশেষায়িত এসব সফটওয়্যার পিডিএফ রিডার নামে পরিচিত। পিডিএফ রিডাররের মাধ্যমে অনলাইনে অথবা অফলাইনে দুই মাধ্যমেই পিডিএফ পড়া যায়। এর মাধ্যে কিছু কিছু সফটওয়্যার এর মাধ্যমে পিডিএফ এডিটও করা যায়।


    পিডিএফ সফটওয়্যার ডাউনলোড

    পিডিএফ পড়ার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো Adobe Acrobat Reader. এর মাধ্যমে সহজেই পিডিএফ পড়া যায় এবং তৈরীও করা যায়। Adobe Acrobat Reader এর মোবালইল এবং পিসি দুই ভার্শনই রয়েছে। Adobe Acrobat হলো অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার এবং ওয়েব পরিষেবাগুলির একটি পরিবার যা Adobe Inc. দ্বারা পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (PDF) ফাইলগুলি দেখতে, তৈরি, ম্যানিপুলেট, মুদ্রণ এবং পরিচালনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।


    নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে খুব সহজেই পিডিএফ সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যাবে। এর জন্য-

    • প্রথমে এই লিংক এ ক্লিক করে Adobe Acrobat Reader ডাউনলোড এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
    • এরপর Download Acrobat Reader বাটনে ক্লিক করলে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
    • ডাউনলোড করা সম্পুর্ণ হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে নিতে হবে। ইনস্টল করার পর .pdf এক্সটেনশন যুক্ত সকল ফাইল এর মাধ্যমে পড়া যাবে।
    • মোবাইলের জন্য এই লিংক এ ক্লিক করে গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে।


    পিডিএফ কিভাবে ডাউনলোড করব

    পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই ফ্রিতে পিডিএফ ডাউনলোড করা যায়। অনেকে আছেন যারা বই পড়তে ভালোবাসেন। তারা মোবাইলের pdf file এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য বিভিন্ন পিডিএফ পেয়ে অনলাইনে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া, এই বই গুলো  অবসর সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই পড়া যায়।


    বাংলা পিডিএফ ডাউনলোড করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

    বাংলা পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। বাংলা পিডিএফ ডাউনলোড করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট নিচে দেওয়া হলো-

    1. Pdfbooks.abiskarok.com
    2. Bdebooks.com
    3. Pdfpoka.com
    4. Banglabook.org
    5. Amarbook.org
    6. Banglapdf.net
    7. Allbanglaboi.com
    8. Ebanglalibrary.com
    9. Banglaboipdf.com
    10. Freebdbook.com
    উপরের ওয়েবসাইটগুলো থেকে ফ্রিতেই বিভিন্ন বইয়ের পিডিএফ ভার্শন ডাউনলোড করে পড়া যাবে।






    জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ১৯ ‍জুলাই থেকে সারা দেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড - NESCO ।


    লোডশেডিং শিডিউল । বিভিন্ন জেলায় কারেন্ট যাওয়ার সময়সূচী - NESCO


    লোডশেডিং শিডিউল

    ১৯/০৭/২০২২ইং তারিখ হতে দৈনিক রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল নিচে দেওয়া হলো-


    রাজশাহীর বিভিন্ন জেলায় কখন কখন কারেন্ট যাবে তা এই শিডিউলে উল্লেখ আছে। এই লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার জন্য প্রযোজ্য এবং ১৯ ‍জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এখানে ব্লক কালো এরিয়া লোডশেডিং এর এরিয়া নির্দেশ করে।


    লোডশেডিং শিডিউল PDF Download

    রাজশাহীর বিভিন্ন জেলার লোডশেডিং শিডিউল PDF নিচে দেওয়া হলো। এখান থেকে ডাউনলোড করে  রাজশাহী অঞ্চলের সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল বিস্তারিত দেখা যাবে।








    জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ১৯ ‍জুলাই থেকে সারা দেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড - NESCO ।


    লোডশেডিং শিডিউল

    ১৯/০৭/২০২২ইং তারিখ হতে দৈনিক রাজশাহী অঞ্চলের পাবনা জেলায় সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল নিচে দেওয়া হলো-


    পাবনায় কখন কখন কারেন্ট যাবে তা এই শিডিউলে উল্লেখ আছে। এই লোডশেডিং শিডিউল পাবনা জেলার জন্য প্রযোজ্য এবং ১৯ ‍জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এখানে ব্লক কালো এরিয়া লোডশেডিং এর এরিয়া নির্দেশ করে।


    লোডশেডিং শিডিউল পাবনা - ১
    লোডশেডিং শিডিউল পাবনা - ১

    লোডশেডিং শিডিউল পাবনা - ২
    লোডশেডিং শিডিউল পাবনা - ২


    লোডশেডিং শিডিউল PDF Download

    পাবনা জেলার লোডশেডিং শিডিউল PDF নিচে দেওয়া হলো। এখান থেকে ডাউনলোড করে  রাজশাহী অঞ্চলের সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল বিস্তারিত দেখা যাবে।








    জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ১৯ ‍জুলাই থেকে সারা দেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড - NESCO ।


    লোডশেডিং শিডিউল

    ১৯/০৭/২০২২ইং তারিখ হতে দৈনিক রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী জেলায় সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল নিচে দেওয়া হলো-


    রাজশাহীতে কখন কখন কারেন্ট যাবে তা এই শিডিউলে উল্লেখ আছে। এই লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী জেলার জন্য প্রযোজ্য এবং ১৯ ‍জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এখানে ব্লক কালো এরিয়া লোডশেডিং এর এরিয়া নির্দেশ করে।


    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ১
    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ১

    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ২
    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ২

    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ৩
    লোডশেডিং শিডিউল রাজশাহী - ৩


    লোডশেডিং শিডিউল PDF Download

    রাজশাহী জেলার লোডশেডিং শিডিউল PDF নিচে দেওয়া হলো। এখান থেকে ডাউনলোড করে  রাজশাহী অঞ্চলের সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল বিস্তারিত দেখা যাবে।








    জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ১৯ ‍জুলাই থেকে সারা দেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোড শেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করেছে নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড - NESCO ।


    লোডশেডিং শিডিউল

    ১৯/০৭/২০২২ইং তারিখ হতে দৈনিক রাজশাহী অঞ্চলের বগুড়া জেলায় সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল নিচে দেওয়া হলো-


    বগুড়ায় কখন কখন কারেন্ট যাবে তা এই শিডিউলে উল্লেখ আছে। এই লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া জেলার জন্য প্রযোজ্য এবং ১৯ ‍জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এখানে ব্লক কালো এরিয়া লোডশেডিং এর এরিয়া নির্দেশ করে।

    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ১
    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ১

    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ২
    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ২

    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ৩
    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ৩

    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ৪
    লোডশেডিং শিডিউল বগুড়া - ৪


    লোডশেডিং শিডিউল PDF Download

    বগুড়া জেলার লোডশেডিং শিডিউল PDF নিচে দেওয়া হলো। এখান থেকে ডাউনলোড করে  রাজশাহী অঞ্চলের সকাল ৯টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত সম্ভাব্য লোডশেডিং শিডিউল বিস্তারিত দেখা যাবে।








    কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থাই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। তালার নকল চাবি বানানো যায়, সেফস লক ভেঙে ফেলা যায় এবং অনলাইনে পাসওয়ার্ডও আগে বা পরে অনুমান করে বের করে ফেলা যায়। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, তাহলে জিনিসপত্র সুরক্ষিত রাখার উপায় কী? বর্তমানে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুরক্ষিত পদ্ধতির একটি হলো বায়োমেট্রিক পদ্ধতি যেমনঃ ফিঙ্গারপ্রিন্ট, রেটিনা স্ক্যান ও ফেস লক যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে করেছে কয়েক ধাপ উন্নত এবং সুরক্ষিত। কিছুদিন আগেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট কেবল অপরাধী শনাক্তকরণের কাজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবহার করতো৷ কিন্তু এখন সাধারণ মানুষও এটি তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে থাকে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য একে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। আজকাল স্মার্টফোন, এটিএম মেশিন, জাতীয় পরিচয়পত্র সহ কম্পিউটার ল্যাপটপেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট কী? ফিঙ্গারপ্রিন্ট কীভাবে কাজ করে?


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ইতিহাস

    ফিঙ্গারপ্রিন্টের আধুনিক সংস্করণ ব্যবহার শুরু করেন, স্যার এডওয়ার্ড হেনরি। ১৯ শতকের শুরুর দিকে তিনি লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশে এটি ব্যবহার করেন। এখানে একটা বিষয় হয়তো অনেকেরই অজানা যে, এই ফিঙ্গারপ্রিন্টের আবিষ্কারক 'আজিজুল হক' নামের একজন বাংলাদেশী! গণিত বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা দেখে এডওয়ার্ড হেনরী আঙ্গুলের ছাপ গবেষণার জন্য আজিজুল হককে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন ফ্রান্সিস গ্যালটনের পুরোনো পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ হত, যা সময় সাপেক্ষ ও অকার্যকর ছিল। আজিজুল হক তার গাণিতিক দক্ষতার মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপের কিছু বৈশিষ্ট্যকে ভিত্তি করে ৩২*৩২= ১০২৪ টি খোপের মাধ্যমে শ্রেণীবিন্যাস করেন, যা অজানা আঙ্গুলের ছাপ বের করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হেমচন্দ্র বোস এই কাজে পুর্ণতা দিতে সাহায্য করেন এবং এ পদ্ধতির জানাজানি হয়ে গেলে হেনরি এডওয়ার্ড একে ইংল্যান্ডে গিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দেন। যদিও পরে আসল বিষয়টি প্রকাশ পায়।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট কী?

    এককোষী জীব বা বহুকোষী প্রাণী থেকে অনন্ত মহাবিশ্ব সবকিছু একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনে চলে। আমাদের এই প্রকৃতি প্যাটার্নে পরিপূর্ণ। প্রকৃতির এই প্যাটার্নগুলো জানার ও বোঝার জন্য দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। এই প্রাকৃতিক প্যাটার্ন গুলোকে গাণিতিক রুপ দেওয়া যায়, কখনও আবার নির্দিষ্ট নিয়ম, বিশদ বর্ণনা এবং চিহ্নিত করা যায়। প্রাকৃতিক এই বিষয়গুলো সার্বজনীন মৌলিক নীতি মেনে চলে এবং প্রকৃতি এই নীতি থেকে কখনও  বিচ্যুত হয় না।


    ফিঙ্গারপ্রিন্টের ক্ষেত্রেও এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে। কারণ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর প্রথম মৌলিক বিষয়টি হলো এর অনন্যতা। কোনো একটি ফিঙ্গারপ্রিন্টের বৈশিষ্ট্য শুধু তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং দুইটি ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গুলের ছাপ কখনো এক হবে না। এই বৈশিষ্ট্য এতোটাই ইউনিক যে, জমজদের মধ্যেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট আলাদা আলাদা হয়। জানা যায় যে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভ্রণের ষষ্ঠ মাসে গঠিত হয়।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর আরো একটি মৌলিক বিষয় হলো, ফিঙ্গারপ্রিন্ট আজীবন একই থাকে। অর্থাৎ এর কোনো পরিবর্তন হয় না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আঙুলের ছাপের আকারে বড় হতে পারে, কিন্তু এর প্যাটার্ন সবসময় একই থাকে। তবে আঙ্গুলের কোনো ক্ষতি হলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর গঠনের পরিবর্তন হতে পারে।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখতে অনেক জটিল মনে হলেও এর মাঝে কিছু অনন্য প্যাটার্ন রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টে রিজ (ফিঙ্গারপ্রিন্টের উঁচু ঢাল) প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়, যাকে নিয়মতান্ত্রিক শ্রেণীবিন্যাস করা সম্ভব। এটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর তৃতীয় মৌলিক বৈশিষ্ট্য।


    ফিঙ্গারপ্রিন্টের মোট তিনটি মৌলিক রিজ প্যাটার্ন আছে। সেগুলো হলো-


    ১। Arches (আর্ক): এই টাইপের প্যাটার্নে রিজ এক দিক থেকে শুরু হয় এবং অন্য দিক থেকে শেষ হয়। পৃথিবীর মাত্র ৫% মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আর্ক প্যাটার্নের হয়ে থাকে।


    ২। Loops (লুপস): এই টাইপের প্যাটার্নে রিজ যে দিক থেকে শুরু হয়েছে সেদিক দিয়েই শেষ হয়। পৃথিবীর প্রায় ৬০-৬৫% ভাগ মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এই প্যাটার্নের হয়ে থাকে।


    ৩। Whorls (ঘুর্ণি): এই প্যাটার্ন বৃত্ত দিয়ে গঠিত। এই প্যাটার্নে একটার বেশি লুপস অথবা প্যাটার্নের মিশ্রন থাকে। পৃথিবীর ৩০-৩৫% মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এই ধরনের হয়।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট কীভাবে কাজ করে?

    প্রায় বেশিরভাগ ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার একই ধরণের হার্ডওয়্যার নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তবে বিভিন্ন অতিরিক্ত ফিচারস এবং সফটওয়্যার, প্রোডাক্ট এর পারফরম্যান্স এ বড় ভুমিকা রাখে এবং গ্রাহক পর্যায়ে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে তাও নির্ধারণ করে।


    ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের সাথে এক বা একাধিক IC সংযুক্ত থাকে, যা স্ক্যানকৃত ডেটাকে বাইনারীতে রুপান্তর করে এবং তা মূল প্রসেসরে প্রেরণ করে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মূল পয়েন্টগুলো সনাক্ত করতে, একেক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যানুফ্যাকচারার একেক রকমের ডেটা ব্যবহার করে, যা এর গতি এবং নির্ভূলতার ওপরেও প্রভাব ফেলে।


    স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে Minutiae বা ক্ষুদ্র পয়েন্টগুলোর বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি তুলে একটা ম্যাপ তৈরী হয়। ম্যাপে এই পয়েন্টগুলোর আকার, আকৃতি, এক পয়েন্ট থেকে অন্য পয়েন্টের মধ্যবর্তী দূরত্ব, অবস্থান থেকে অ্যালগরিদম তৈরী করা হয়। যার ফলে প্রতিবার পুরো ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানের প্রয়োজন পরে না। ব্যবহারের সময় আঙ্গুলের কিছু পয়েন্টের স্ক্যান করে পূর্বের তৈরিকৃত ম্যাপের সাথে কতোটা সংগতিপূর্ণ তা মিলিয়ে দেখা হয়। এর ফলে ডেটা প্রসেসিং এ পাওয়ার সেভ হয় এবং আঙ্গুলে ময়লা থাকলেও রিডিং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমায় এবং স্ক্যানারের সঠিক স্থানে আঙ্গুল না রাখলেও বেশ ভালো ভাবে শনাক্ত করতে পারে।


    আবার এই অ্যালগরিদম গুলো ডিভাইসে সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন হয়। যেসব ডেটা এই অ্যালগরিদমের ক্ষতি করতে পারে সেগুলো থেকেও এই অ্যালগরিদমকে সুরক্ষিত রাখতে হয়। ইউজারের ডেটাকে অনলাইনের আপলোড করার বদলে, TEE (Trusted Execution Environment) ভিত্তিক ট্রাস্টজোন টেকনোলোজির মাধ্যমে প্রসেসরে অ্যালগরিদমকে চিপে এনক্রিপ্ট করে রাখা হয়। ফলে OS বা কোনো অ্যাপস অ্যালগরিদমের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। TEE অংশটি অন্যান্য ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রসেসের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় এবং এটি সরাসরি প্রসেসর থেকে হার্ডওয়্যার বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারের সাথে ডেটা আদান প্রদান করে।








    BitTorrent হলো একটি ইন্টারনেট প্রটোকল, যার মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল পিয়ার টু পিয়ার দ্রুত ও খুব সহজে শেয়ার করা যায়। BitTorrent তৈরি করেছিল ব্রাম কোহেল। ব্রাম কোহেল বাফেলো ইউনিভার্সি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছে।


    BitTorrent কী? Bitorrent কিভাবে কাজ করে?


    Bitorrent কিভাবে কাজ করে?

    আমরা যখন ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করি সেই ফাইলটা নির্দিষ্ট যে সার্ভারে সংরক্ষিত সেখান থেকে আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়। তাই এখানে অনেক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যেমন বড় কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে ধীরগতি বা ডাউনলোডের মাঝখানে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন জনিত সমস্যা হলে ফাইলটি পুনরায় প্রথম থেকে ডাউনলোড করতে হয়, এরকম আরো অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে।


    এই সমস্যা গুলোকেই সমাধান করার উদ্দেশ্যে টরেন্টের সৃষ্টি। টরেন্টের মাধ্যমে যে ফাইল গুলো ডাউনলোড করা হয় সেগুলো নির্দিষ্ট কোন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে না৷ এই ফাইলগুলো মুলত সকল টরেন্ট ব্যবহারকারীদের ডিভাইস থেকে সরাসরি আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়, যারা ওই একই ফাইল গুলো তাদের ডিভাইসে আগে থেকেই ডাউনলোড করে রেখেছে।


    এর মানে হচ্ছে আমরা যখন কোন ফাইল টরেন্ট ব্যবহার করে ডাউনলোড করি, তখন অন্য কোন ব্যবহারকারী যখন সেই একই ফাইল ডাউনলোড করবে তখন সে আমাদের ডিভাইস থেকেও সেই ফাইলের কিছু অংশ ডাউনলোড করবে। ডাউনলোডকারী একটি ফাইল একই সাথে অনেকগুলো ডিভাইস থেকে ডাউনলোড করছে ফলে সে ফাইলটি খুব দ্রুত গতিতে ডাউনলোড করতে পারবে। যেকারণে এখানে তেমন কোন সীমাবদ্ধতাও তৈরি হচ্ছেনা। মূলত টরেন্ট তৈরিই করা হয়েছে বড় ফাইল ঝামেলাহীন ভাবে শেয়ার করার জন্য।


    যেহেতু BitTorrent ব্যবহার করে আমরা বড় একটি ফাইল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডাউনলোড করি তাই ডাউনলোডের মাঝ পথে ইন্টারনেট জনিত সমস্যা বা কোন কারনে যদি ডিভাইস বন্ধ করে রাখতে হয় তবুও কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়না। কারণ যতটুকু ফাইল আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়েছে পরবর্তীতে সেই ফাইলের বাকি অংশ টুকুই আবার BitTorrent ডাউনলোড করবে। এভাবে আমরা পুরো ফাইলটি পেয়ে যাচ্ছি।


    BitTorrent থেকে কোন ফাইল ডাউনলোডের সময় এখানে সব সময় ২ টা পক্ষ তৈরি হয়। যে ডাউনলোড করছে তাকে প্রথম পক্ষ বলে। আর যার কাছে থেকে ডাউনলোড হচ্ছে বা আপলোড হচ্ছে সে হচ্ছে দ্বিতীয় পক্ষ। প্রথম পক্ষকে বলা হয় লিচার (LEECHER) এবং দ্বিতীয় পক্ষকে বলা হয় সিডার (SEEDER). এখান থেকে একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে যে, টরেন্ট হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেম সিডারস এবং লিচারসদের কে পরিচয় করিয়ে দেয়, এবং পরিচয়ের মাধ্যমে ফাইলগুলো নিজেরদের মধ্যে আদানপ্রদান করে। যেই ফাইল গুলোর সিডার বেশি থাকবে সেই ফাইল গুলো তত বেশি স্পিডে ডাউনলোড করা যাবে। মানে হচ্ছে কোন ব্যবহারকারী যখন কোন ফাইলের লোকেশন যুক্ত ইনফরমেশন টরেন্টকে দেয় তখন সেই ফাইলটি কেউ ডাউনলোড করলে ধীরগতিতে সেটি ডাউনলোড হবে কারণ ফাইলটি মাত্র একজন সিড করছে বা সেই ফাইলের একজন মাত্র সিডার রয়েছে, তবে সেই ব্যক্তি ডাউনলোড হয়ে গেলে তখন ২ জন সিডার হবে এভাবে যখন অনেক ব্যবহারকারী সেই একই ফাইল ডাউনলোড করে ফেলবে তখন সিডারের সংখ্যা আরো বেশি হয়ে যাবে, আর তখন সেই ফাইলটি কেউ ডাউনলোড করতে গেলে তার ডাউনলোড স্পিড অনেক বেশি হবে, কারণ তখন ফাইলটি ভাগ ভাগ হয়ে সব গুলো সিডারের থেকে একই সাথে ডাউনলোড হবে। এভাবে ভাগ ভাগ করে ফাইল গুলোকে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে ডাউনলোড করার কারণেই এর নাম দেওয়া হয়েছে BitTorrent. 


    BitTorrent এ আরো একটি বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে সিডার এবং লিচারদের মধ্যে অনুপাত। কোন ফাইলের লিচার (যে ডাউনলোড করছে) অপেক্ষা যদি সিডার (যার কাছ থেকে ডাউনলোড হচ্ছে বা আপলোড হচ্ছে) বেশি থাকে তাহলে সে ফাইলটি অনেক বেশি স্পীডে ডাউনলোড করা যাবে। আর যে ফাইলের সিডার অপেক্ষা লিচার বেশি হবে সে ফাইলের স্পীড কম পাওয়া যাবে, কারন সেই ফাইল অনেক বেশি ব্যবহারকারী মিলে কম সংখ্যক ব্যবহারকারীদের থেকে ডাউনলোড করছে। তাই BitTorrent এ কোন ফাইল ডাউনলোড দেওয়ার পূর্বে সিডার এবং লিচারের মধ্যে অনুপাত দেখে নিতে হবে।








    সাবমেরিন (Submarine) ইংরেজি শব্দ৷ সাব শব্দের অর্থ নিচে, এবং মেরিন অর্থ সমুদ্র বা সাগর। সমুদ্রের নিচ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে সারা পৃথিবী জুড়ে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে সাবমেরিন ক্যাবল বলা হয়।


    যেহেতু এই ক্যাবল গুলো সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেকারনেই এর নাম দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল। একদল দক্ষ ডুবুরির সাহায্যে সমুদ্রের তলদেশে এই ক্যাবল গুলো রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশাল আকারের জাহাজ।



    সাবমেরিন ক্যাবলের ইতিহাস

    মহাকাশের স্যাটেলাইট দিয়ে টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট এর বিকল্প হিসেবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে, কিংবা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত, দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী করার লক্ষে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা শুরু হয়।


    ১৮৫০ সালে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড এর মধ্যে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছিল। প্রথম যাত্রায় এটি পুরোপুরি ভাবে সফল না হলেও ১৯৫৩ সালের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়৷ বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবল এ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হলেও প্রথম দিকে কপারের তার ব্যবহার করা হতো।


    সাবমেরিন ক্যাবলের গাঠনিক উপাদান

    সাবমেরিন ক্যাবল যেহেতু সমুদ্রের অনেক গভীর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই এটা অনেকটা শক্ত, অধিক চাপ সহনশীল এবং ওয়াটার প্রুফ হতে হয়।তাই এর উপরে বিশেষ ধরনের রাবার (পলিএথোলিন), কপার, এলুমিনিয়াম, ইত্যাদির কয়েক স্তরের আবরণ থাকে।


    সাবমেরিন ক্যাবল কীভাবে কাজ করে?

    সাবমেরিন ক্যাবল মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে। যথা-

    • টিয়ার-১
    • টিয়ার-২
    • টিয়ার-৩

    টিয়ার-১ হচ্ছে সেই সকল কোম্পানির সাবমেরিন ক্যাবল, যারা সমুদ্র তলদেশে তাদের নিজস্ব খরচে এটা মেইনটেইন করে। এবং তারা লোকাল কোনো দেশের কোম্পানির কাছে ইন্টারনেট বিক্রি করে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এরকম টিয়ার-১ কোম্পানি। লোকাল সিম কার্ড কোম্পানি অথবা বিভিন্ন বড় বড় ইন্টারনেট পাবলিশার হচ্ছে টিয়ার-২। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে টিয়ার-৩।


    বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে৷ এ সাবমেরিন ক্যাবলগুলো হচ্ছে SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5. এগুলোর ল্যান্ডিং স্টেশন একটি কক্সবাজার এবং অপরটি কুয়াকাটায় অবস্থিত।








    আপাতবিরোধী বা স্ববিরোধী কোন ঘটনাকে প্যারাডক্স বলে। প্যারাডক্স শব্দের আভিধানিক অর্থ কূট, সম্ভাব্যতা-বিরোধী ব্যক্তি বা বস্তু। প্যারাডক্স এমন কোনো বাক্য, উক্তি বা ঘটনা যা থেকে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। কোন বাক্য বা উক্তির ক্ষেত্রে হয় সেটি সত্য হবে না হয় মিথ্যা হবে। কিন্তু প্যারাডক্স এর ক্ষেত্রে এটি সত্য বা মিথ্যা কোনোটাই হয় না।

    প্যারাডক্স কী? কয়েকটি বিখ্যাত প্যারাডক্সের উদাহরণ


    ধারণা করা হয় প্যারাডক্সের সূচনা ঘটেছে চীনে। একসময় চীনে এক লোক ঢাল ও বল্লম বিক্রি করতো। একবার সেই বল্লম বিক্রেতা দাবি করলো আমার কাছে এমন এক ঢাল আছে যা, যেকোনো কিছুকে প্রতিরোধ করতে পারে। আবার সে দাবি করলো আমার কাছে এমন এক বল্লম আছে যা, যেকোনো কিছুকে ভেদ করতে পারবে। বিক্রেতার এই কথা শুনে এক চতুর ক্রেতা বলল, "আমি যদি এই বল্লম দিয়ে এই ঢালে আঘাত করি তাহলে কী হবে?" মুলত এই ঘটনা থেকেই প্যারাডক্স বা স্ববিরোধী ঘটনার উৎপত্তি। ইতিহাসে এমন অনেক বিখ্যাত প্যারাডক্স রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু প্যারাডক্স এতই জটিল যে আমাদের মাথা ঘুরিয়ে দিবে। এরকম কিছু প্যারাডক্স এখানে দেওয়া হলো-


    সরাইটিস প্যারাডক্স

    মনেকরি একটি পাত্রে একটি চালের দানা আছে। আমরা এটাকে চালের স্তুপ বলবো না কেননা এখানে কেবলমাত্র একটি চালের দানা-ই রয়েছে। এখন আমরা যদি এর সাথে আরো একটা চালের দানা যোগ করি তবুও এটাকে চালের স্তুপ বলা যাবে না। কারণ মাত্র একটা দানার পার্থক্য ধর্তব্যের মধ্যে নয়। তাহলে যদি n সংখ্যক চালের দানাকে একত্র করলে যদি সেটা চালের স্তুপ না হয় তাহলে এর সাথে একটা চালের দানা যোগ করে n+1 করা হলে সেটাও চালের স্তুপ হবে না। আবার, যদি n সংখ্যক চালের দানা বিশিষ্ট একটি চালের স্তুপ থেকে একটি চালের দানা সরিয়ে n-1 করা হলে সেটি চালের স্তুপই থাকবে। এরকম করে একটা একটা করে চালের দানা কমাতে কমাতে শেষে যদি একটা চালের দানা থাকে তাহলে সেটাও চালের স্তুপই হবে।


    আগন্তুক ও নগররক্ষী প্যারাডক্স

    আগন্তুক ও নগররক্ষী প্যারাডক্স টা এরকম- এক শহরে এক দাড় রক্ষী আছে। কেউ শহরে প্রবেশ করতে গেলে সে তাকে একটা প্রশ্ন করে, "আপনি এই শহরে কেন এসেছেন?" যদি তার উত্তর সত্য হয় তাহলে তাকে ফাঁসি না দিয়ে শহরে  ঢুকতে দেওয়া হয়। অন্যথায় তাকে ফাসি দেওয়া হয়। একবার একজন লোক শহরে প্রবেশ করতে চাইলে নগররক্ষী তাকে জিজ্ঞেস করলো সে কী কারণে শহরে এসেছে। সে উত্তর দিলো, "আমি ফাসিতে ঝুলতে এসেছি।" এই উত্তর শুনে নগরক্ষীর কী করা উচিত। আগন্তুককে কি ফাঁসি দেওয়া হবে? নাকি না? যদি তাকে ফাঁসি দেওয়া তাহলে তাহলে লোকটির কথা সত্য হয়ে যাবে। আর যদি ফাঁসি না দেওয়া হয় তাহলে লোকটির কথা মিথ্যা হয়ে যাবে। আর নিয়মানুযায়ী মিথ্যা উত্তরদাতাকে ফাঁসি দেওয়া হবে।


    গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স

    গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্সটি টাইম ট্রাভেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ যদি সম্ভব হয়, তাহলে এক জটিলতার সৃষ্টি হবে যাকে নিয়েই এই গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স তৈরি হয়েছে।

    কেউ যদি টাইম মেশিনে করে অতীতে গিয়ে তার দাদার ছোটবেলা তার বাবার জন্ম হওয়ার আগেই তার দাদাকে হত্যা করে তাহলে তার পিতার জন্ম হবে না। তার পিতার জন্ম না হলে সেও জন্মগ্রহণ করবে না। কিংবা সে যদি জন্মগ্রহণ না-ই করে তাহলে অতীতে গিয়ে তার দাদাকে কে হত্যা করলো।


    ডিকোটোমি প্যারাডক্স

    ডিকোটামি প্যারাডক্স এর উদ্ভাবক দার্শনিক জেনো। ধরা যাক, কোনো ব্যক্তি একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর তিনি পথের অর্ধেক (১/২) অংশ অতিক্রম করলেন। তারপর পথের বাঁকি অংশের অর্ধেক অর্থাৎ পুরো পথের চার ভাগের এক ভাগ (১/৪) অংশ অতিক্রম করলেন। এভাবে তিনি প্রতিবারই বাঁকি পথের অর্ধেক করে অতিক্রম করতে লাগলেন। তাহলে তিনি   যথাক্রমে পুরো পথের ১/২, ১/৪, ১/৮, ১/১৬ অংশ এভাবে যাচ্ছেন। ব্যাপারটি এমন দাড়ালো যে, তিনি কখনো সম্পূর্ণ পথ অতিক্রম করে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না!


    মিথ্যাবাদী প্যারাডক্স

    এপিমেনাইডেস নামের একজন দার্শনিকের একটি উক্তির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যাবাদী প্যারাডক্সটির উৎপত্তি ঘটেছে। তিনি বলেছিলেন, '' ক্রিটের সকল নাগরিক মিথ্যাবাদী '' তার এই কথা যদি সত্য হয় তাহলে তিনি  নিজেও মিথ্যাবাদী কেননা তিনিও ক্রিটের নাগরিক। আবার তার কথা যদি মিথ্যা হয় তাহলে ক্রিটের সকল নাগরিক মিথ্যাবাদী নয়। তাহলে তিনিও মিথ্যাবাদী নন। কারণ তিনিও ক্রিটের বাসিন্দা। কিন্তু তিনি যদি সত্যবাদী হন তাহলে তার কথাটা মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ তিনি আবার মিথ্যাবাদী হয়ে যাচ্ছেন।


    হ্যাঁ-না প্যারাডক্স

    কিছু ব্যতিক্রমী প্রশ্ন রয়েছে যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দিয়ে দিলে প্যারাডক্স তৈরি হয়। কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ''আপনি কি এখনো ঘুষ খান?''


    তিনি যদি ঘুষ না খেয়ে থাকেন তাহলে, তিনি অবশ্যই 'না' বলবেন। তাহলে ব্যাপারটা এমন হয়ে যাবে যে, তিনি আগে ঘুষ খেতেন কিন্তু এখন খান না! 


    বুরিডানের গাধা

    বুরিডান নামের এক ব্যক্তি তার এক ক্ষুদার্থ গাধাকে এক জায়গায় নিয়ে গেল যেখানে তার দুইপাশে সমান দুরত্বে দুটি খড়ের স্তুপ রাখা আছে। পরিমা্‌ রূপ, গন্ধের দিক থেকে একই মনে হচ্ছে। গাধাটি দুটি স্তুপের মধ্য থেকে কোনটি থেকে খাবে তা বুঝতে পারবে না। অবশেষে, ভাবতে ভাবতে না খেয়ে মারা যাবে!


    বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্স

    বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্সটি টাইম ট্রাভেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ যদি সম্ভব হয়, তাহলে এক জটিলতার সৃষ্টি হবে যাকে নিয়েই এই বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্স তৈরি হয়েছে।


    কেউ একজন কোনো বইয়ের দোকান থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ''গীতাঞ্জলী'' বইটির একটি কপি কিনলেন এবং টাইম ট্রাভেল করে অতীতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দিলেন। তখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ''গীতাঞ্জলী'' রচনা করেননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইটি পাওয়ার পর, তা নিজের নামে প্রকাশ করে দিলেন। এভাবেই চলতে থাকলো, সবাই জানল, 'গীতাঞ্জলী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছে। কিন্ত আসলে তো তিনি সেটা লেখেননি। তাকে সেটা দেওয়া হয়েছে। তাহলে বইটা কে লিখেছে?


    হ্যাংম্যান প্যারাডক্স

    একজন ফাঁসির আসামিকে বলা হলো, সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে যেকোন এক দিন তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। তবে ঠিক কোনদিন হবে তা তাকে জানানো হবে না। কয়েদি চিন্তা করে দেখলেন  তাকে শুক্রবারে ফাঁসি দেওয়া যাবে না, কারণ তিনি যদি বৃহস্পতিবারে বেঁচে যান, তাহলে জেনে যাবেন যে তাকে শুক্রবারে ফাঁসি দেওয়া হবে। কিন্তু বলা হয়েছে তিনি তার ফাঁসির দিনটি জানবেন না। আবার তাকে বৃহস্পতিবারেও ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয়, কেননা তিনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, শুক্রবারে তার ফাঁসি হবে না। তাহলে বুধবারেই তিনি বুঝে যাবেন যে বৃহস্পতিবারেই তার ফাঁসি হবে। এভাবে একই নিয়মে তিনি দেখতে পেলেন, সোম থেকে শুক্র কোন দিনই তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো সম্ভব নয়।


    রেস্টুরেন্ট প্যারাডক্স

    একটা রেস্টুরেন্ট এ কেউ যায়না কারণ সেখানে ভিড় থাকে। তাহলে ভিড়ের কারণে  কেউই  যদি না যায়, তাহলে ওই ভিড় ওখানে আসে কোত্থেকে? 


    টুইন প্যারাডক্স

    টুইন প্যারাডক্স টি বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

    দুই জমজ ভাইয়ের মধ্যে একজন যদি স্পেসশিপে করে মহাকাশে আলোর বেগে ছুটতে থাকেন। আর অপরজন যদি পৃথিবীতেই থাকেন। তাহলে মহাকাশ থেকে যখন একজন ৩ বছর পর ফিরে আসবেন তখন তিনি তার সময়ের সাপেক্ষে  ৩ বছর কাটাবেন। রওনা হওয়ার সময় যদি তার বয়স ১৮ বছর হয় ফিরে আসার সময় তার বয়স তিন বছর বেড়ে ২১ হলেও, ফিরে এসে দেখবেন তার ভাই পৃথিবীতে বৃদ্ধ হয়ে গেছে


    কার্ড প্যারাডক্স

    কোনো ব্যক্তির কাছে একটা কার্ড দেওয়া হলো যার, এক পাশে লেখা, '' অপর পাশে যা লেখা আছে সেটা সত্য।'' এটাকে 'ক' ধরা যাক। ঐ ব্যক্তি কার্ডটি উলটে অপর পাশে দেখলেন লেখা আছে, '' অপর পাশে লেখাটি মিথ্যা।'' এটাকে 'খ' ধরা যাক। এখন 'ক' লেখা যদি মিথ্যা হয় তাহলে 'খ' লেখাটি মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। কারণ 'ক' তে লেখা ছিল যে,  অপর পাশে (খ) যা লেখা আছে সেটা সত্য।  আবার 'খ' লেখাকে মিথ্যা ধরলে, 'ক' লেখা সত্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ 'খ' অংশে লেখা ছিল যে, অপর পাশে (ক) লেখাটি মিথ্যা।








    আমরা যারা শহর থেকে একটু দূরে গ্রামাঞ্চলে থাকি তাদের জন্য সবচেয়ে ভোগান্তির বিষয় হলো ইন্টারনেট। গ্রামের দিকে ইন্টারনেট সুবিধা একেবারে অপ্রতুল। থাকলেও তার গতি এতটাই কম যে কোন কাজ করতে নিলে অনেক অসুবিধায় পরতে হয়। গ্রামের দিকে ইন্টারনেট অপ্রতুলতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এই কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা কারণ হলো অবকাঠামোগত দূর্বলতা।


    অবকাঠামোগত দূর্বলতা থাকার কারণে গ্রামের দিকে ইন্টারনেট সুবিধা এখনো ব্যাপকভাবে প্রসার করা সম্ভব হয়নি। এ অসুবিধা কাটিয়ে ওঠার জন্য টেসলা কোম্পানি সিইও ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যায় নাম হলো স্টারলিংক। 


    বিজ্ঞান এবং মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী কিন্তু ইলন মাস্ক এর নাম শোনেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুঃস্কর। এই ইলন মাস্ক-ই আমাদের ইন্টারনেটের গতির দুর্দশা কমাতে নতুন একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। এর নাম "স্টারলিংক" প্রজেক্ট! এর বদৌলতে আমরা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারি।


    স্টারলিংক কী? এর সুবিধা ও অসুবিধা


    স্টারলিংক কী?

    স্টারলিংক হলো একটি প্রজেক্ট যার মাধ্যমে মহাকাশে লো-অরবিট স্যাটেলাইট পাঠিয়ে এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হবে। বর্তমানে অবশ্য অনেক কোম্পানি জিও-স্টেশনারী স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সেবা প্রদান করে থাকে। স্টারলিংক এর এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য মহাকাশে প্রায় ৪২,০০০ এর মতো স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। তবে এই স্যাটেলাইট গুলো লো-অরবিট স্যাটেলাইট। অর্থাৎ এগুলো পৃথিবীর খুব কাছে থেকে পৃথিবীকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করবে।


    জিও স্টেশনারী স্যাটেলাইট গুলো পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫৮০০ কিলোমিটার উপরে স্থির থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। আর স্টারলিংকের এই লো-অরবিট স্যাটেলাইট গুলো মাত্র ৫৪০ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার উপরে থাকবে। 


    স্টারলিংক প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্য কী?

    স্টারলিংক প্রজেক্ট এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্লোবাল কানেক্টিভিটি। একইসাথে হাই-স্পিড এবং লো-ল্যাটেন্সি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি নিশ্চিত করাও এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এর ফলে স্টারলিঙ্ক বর্তমানের অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।


    স্টারলিংক প্রজেক্টের সুবিধা কী?

    স্টারলিংক এর স্যাটেলাইট গুলো পুরো পৃথিবীকে জালের মতো ঘিরে ফেলবে এবং এর ফলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো জঙ্গলের ভিতর থেকেও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি হাই-স্পিড এবং লো ল্যাটেন্সী ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। এখন আমরা অনেকেই বুঝতে পারছিনা যে এই ল্যাটেন্সী টা আবার কী জিনিস।


    ল্যাটেন্সী কী?

    ল্যাটেন্সী হচ্ছে একটা ডিভাইসের সাথে আরেকটা ডিভাইসের রেসপন্স করতে কত সময় লাগে তার পরিমাপ। ল্যাটেন্সী কম হলে সার্ভারের সাথে অতি দ্রুত যোগাযোগ করা যায়, একে লো ল্যাটেন্সী বলে। আর ল্যাটেন্সী বেশি হলে সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করতে বেশি সময়। অনলাইন ভিডিও গেইম খেলার সময় লো ল্যাটেন্সী বেশি প্রয়োজন হয়।


    স্টারলিংক কীভাবে কাজ করবে?

    বর্তমানে কিছু কিছু কোম্পানি ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য জিও-স্টেশনারী স্যাটেলাইট ব্যবহার করে, যা অনেক দূরে থাকে। দূরত্বের জন্য সিগন্যাল যাওয়া-আসা করতে অপেক্ষাকৃত বেশী সময় লাগে। এর ফলে নেটওয়ার্ক স্পিড কমে যায় এবং ল্যাটেন্সী বৃদ্ধি পায়। এই স্টারলিংক প্রজেক্ট এর স্যাটেলাইট গুলো লো-অরবিট স্যাটেলাইট হওয়ায় এগুলো পৃথিবীর কাছাকাছি থাকবে ফলে সিগন্যাল তাড়াতাড়ি যাবে, নেটওয়ার্ক স্পিড বাড়বে এবং ল্যাটেন্সীও কম থাকবে। আবার, জিও স্টেশনারী স্যাটেলাইট গুলোতে কানেকশনের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এতে করে আলো অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় এর গতি অনেকটা কমে যায়। অপরদিকে স্টারলিংক স্যাটেলাইট এ ব্যবহৃত হবে লেজার লাইট এবং বায়ু মাধ্যম, ফলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইটের মতো এখানে গতি কমে যাবে না। এখানে আলো তার পূর্ণ গতিতে চলতে পারিবে ফলে ডেটা আদান-প্রদানের গতিও বৃদ্ধি পাবে।


    স্টারলিংক ইন্টারনেট এর দাম কত?

    বর্তমানে স্টারলিংক এর দুইটা প্যাকেজ রয়েছে। একটার দাম প্রতি মাসে ৯৯ ডলার এবং অন্যটির দাম প্রতি মাসে ৫০০ ডলার। ৯৯ ডলারের প্যাকেজ দিয়ে কেবলমাত্র একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ৫০০ ডলারের প্যাকেজ দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। 


    স্টারলিংক এর সীমাবদ্ধতা কী?

    স্টারলিংক স্যাটেলাইট গুলো আকাশকে ঘিরে ফেলায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে সমস্যা হতে পারে। এবং রেডিও সিগন্যাল আদান প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে।








    বর্তমান টেকনোলজির দুনিয়ায় একটি নতুন প্রযুক্তি হলো eSIM কার্ড। ধারণা করা হচ্ছে eSIM কার্ড একটি বিরাট পরিবর্তনের সূচনা করবে। eSIM কী? কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়েই আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।


    eSIM কার্ড কী?

    eSIM কার্ড এর পূর্ণরুপ হলো Embedded SIM Card (এম্বেডেড সিম কার্ড) আমাদের ফোনে থাকা ট্রাডিশনাল (এক্সটার্নাল) সিম কার্ড যে প্রযুক্তিতে কাজ করে ঠিক একইভাবে eSIM কার্ড ও কাজ করে থাকে। eSIM গুলো সাধারণ যেকোনো ট্রাডিশনাল সিম কার্ডের থেকে ১০ গুণ ছোট হয়ে থাকে।


    eSIM কার্ড গুলো অন্যান্য ট্রাডিশনাল সিম কার্ডের মতো করে মোবাইলে ইন্সটল করতে হয় না। স্মার্ট ফোনগুলো তৈরি করার সময় মাদারবোর্ডের সঙ্গে (In built) eSIM চিপ সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।


    eSIM কী? কিভাবে কাজ করে? এর সুবিধা ও অসুবিধা


    কোন কোন ফোনে eSIM সাপোর্ট করে?

    eSIM সাপোর্টেড স্মার্টফোন এর লিস্ট https://cutt.ly/yPjQdl7


    eSIM কিভাবে কাজ করে?

    সাধারণত আমাদের মোবাইল ফোমে যে সিমকার্ড লাগানো হয়, সেটা আসলে একপ্রকার চিপ, যার মধ্যে কিছু ফোন নম্বর ও সিমকার্ডের IMSI (International Mobile Subscriber Identity) সঞ্চিত থাকে।


    IMSI হলো একটি ১৫ সংখ্যার নম্বর যা পৃথিবীতে সমস্ত সিমকার্ডের মধ্যে থাকে, এবং এই নম্বরটি প্রত্যেক সিমের জন্য আলাদা আলাদা অর্থাৎ স্বতন্ত্র হয়। যার ফলে প্রত্যেক সিমকার্ড কে আলাদা আলাদা ভাবে সনাক্ত করা যায়। কিন্তু eSIM এর ক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানি ঐরকমই একটি চিপকে মোবাইল মধ্যে তৈরী করার সময়ই লাগিয়ে রাখবে। যার ফলে ওই চিপের মধ্যে সমস্ত রকমের ফোন নম্বর সেভ করে রাখা যাবে এবং ওই eSIM এর চিপকে বার বার রিরাইট করা যাবে।


    অর্থাৎ ওই চিপের মধ্যে IMSI নম্বর টি বার বার লিখা ওই চিপের মধ্যে। যার ফলে কেউ যদি সিম চেঞ্জ করতে চায় তাহলে তাকে শুধু ওই IMSI নম্বর এবং সিমকার্ড কোম্পানির দ্বারা দেওয়া তথ্য পূরণ করলে ওই সিমকার্ড চালু হয়ে যাবে।
     
    এর ফলে আগের মতো সিম চেঞ্জ করতে বার বার নতুন সিমকার্ড লাগাতে হবে না , যদি কখনও সিমকার্ড চেঞ্জ করার প্রয়োজন হয়, তখন ওই মোবাইলের মধ্যে লাগানো চিপ কে রিরাইট করে সহজেই সিমকার্ড চেঞ্জ করা যাবে।


    কেউ eSIM লাগাতে চাইলে, এর জন্য সিমকার্ড অপারেটর কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে নতুন সিমকার্ডের জন্য সমস্ত তথ্য নিতে হবে অথবা সিমকার্ড নেওয়ার জন্য তাদের ফিজিক্যাল স্টোরে যেতে হতে। এরপর, ওই স্টোর থেকে সমস্ত তথ্যগুলো দেওয়া হবে এবং ওই তথ্যগুলো মোবাইলর eSIM এর জায়গায় লিখলেই কোনো ঝামেলা ছাড়াই সিমকার্ড চালু হয়ে যাবে।


    eSIM এর সুবিধা:

    eSIM এর সুবিধা হলোঃ বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কে আরো অনেক বেশিছোট থেকে ছোট করার চেষ্টা চলছে এবং ওই ছোট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর মধ্যে যত বেশি সম্ভব কাজ করা যায় তারই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।


    তাই যদি ছোটো একটি চিপ মোবাইলের মধ্যে লাগানো থাকে তাহলে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হবে। বাইরে থেকে সিমকার্ড লাগালে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে নেয়। তাই এ ক্ষেত্রে eSIM বেশি সুবিধা প্রদান করে।


    বিশেষ করে, ছোটো ছোটো ডিভাইস যেমন Smart Watch এ একটি সিমকার্ড লাগানোর জন্য অনেক বেশি জায়গার অপচয় হয়। তাই এ ক্ষেত্রে eSIM ব্যবহার করে ডিভাইস কে অনেক ছোট করা সম্ভব হবে।


    এছাড়াও কেউ যদি সিমকার্ড চেঞ্জ করতে চায় তাহলে তাকে আবার নতুন সিমকার্ড লাগাতে হয়, কিন্তু eSIM এর ক্ষেত্রে নতুন কোনো সিমকার্ড লাগাতে হবে না , ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে সিমকার্ডের ডিটেলস নিয়ে, ওই ডিটেলস অনুযায়ী eSIM এ রিরাইট করে ফেললেই সহজেই সিমকার্ড চেঞ্জ করা যাবে।


    eSIM এর অসুবিধা

    eSIM এর অনেক সুবিধা, কিন্তু যদি অসুবিধার কথা বলতেই হয়, যারা খুব বেশি এক সিমকার্ড খুলে অন্য সিমকার্ড লাগায় , তাদের একটু সমস্যা হতে পারে। বারবার তথ্যগুলো রিরাইট করতে হবে।

     







    আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাগজের তৈরি প্রচলিত মুদ্রা বা এ সংশ্লিষ্ট কোন ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্বলিত বস্তু ব্যবহার করে থাকি। এসব দিয়ে বাস্তব জীবনে এবং অনলাইনে যে লেনদেন করে থাকি সে সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপাত দৃষ্টিতে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই মিটিয়ে ফেলা যায়। কিন্ত  বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড, ডেবিট কার্ড অথবা অন্যান্য ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্বলিত বস্তুগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি বড় সমস্যা রয়েছে।


    ক্রেডিট কার্ড, এটিএম কার্ড, ডেবিট কার্ড অথবা অন্যান্য ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্বলিত বিষয়গুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সেবা দাতা এবং গ্রহীতা উভয়কেই তৃতীয় কোন পক্ষের উপর ‘ট্রাস্ট’ বা আস্থা রাখতে হয়। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে থাকে। ব্যাংক ব্যবহার করে কোনো লেনদন করা হলে উভয়পক্ষেরই ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হয়।


    একই ক্যাশ দুই বা ততোধিক বার ব্যবহার করাকে ডাবল স্পেন্ডিং বলা হয়। ডাবল স্পেন্ডিং যেকোনো যেকোনো ই-ক্যাশ সিস্টেমের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে ঢুকে যেতে পারে!


    ব্লকচেইন প্রযুক্তি কী? ব্লকচেইন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?


    ২০০৮ সালে যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় পৃথিবীর সব বড় বড় ব্যাঙ্কগুলি প্রায় পথে বসেছিল তখন সরকার বা তৃতীয় পক্ষের নিরাপত্তা খুব কাজে আসছিল না। তৃতীয় পক্ষ বা সরকারের উপর যখন বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পরে, তখন জনমনে হতাশা নেমে আসে!


    উপরের এইসব সমস্যাকে সমাধান করার উদ্যেশ্যে ২০০৯ সালে  ৯ পৃষ্ঠার “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” নামক এক গবেষণা প্রস্তাবনা অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এই গবেষণাটি প্রকাশ করেন সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে এক বা একাধিক কম্পিউটার বিজ্ঞানী। যেখানে বিটকয়েন সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণা দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয় যে, একজন অন্যজনকে কোন তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং ‘ডাবল স্পেন্ডিং রোধ করতে একটি পিয়ার-টু-পিয়ার (peer-to-peer) ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা পরিশোধের ব্যবস্থা প্রয়োজন।


    ‘মাইনিং’ হচ্ছে যে পদ্ধতিতে এই কারেন্সি বা বিটকয়েন তৈরি করা হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সাতোশি সর্বপ্রথম বিটকয়েন মুদ্রা রিলিজ করে। এই সাতোশি নাকামোতোর আসল পরিচয় আজ পর্যন্ত কেউ জানতে পারে নি। ২০০৯ সালে কিছু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুক্ত উৎস প্রযুক্তিতে তৈরী করে ফেলেন পৃথিবীর প্রথম ক্রিপ্টোগ্রাফিক কারেন্সি বিটকয়েন। যা কোন সরকারের অধীনে নয় এবং এটি কোনো দেশের সীমানা মানে না। যার কাছে এই কারেন্সি রয়েছে তারাই এর মালিক।


    ব্লকচেইন প্রযুক্তি কী?

    ব্লকচেইন হলো কেন্দ্রিকতা বিহীন, বিভাজিত এবং সাধারণ ডিজিটাল তথ্যভান্ডার। ব্লকচেইন বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে লেনদেন রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হয়। ব্লকচেইন প্রযুক্তিটি ইন্টারনেটের মতো বা তারচেয়েও বেশী সম্ভাবনাময় একটি প্রযুক্তি।


    ব্লকচেইন প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?

    ব্লকচেইনে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। ফলে এসব কারেন্সির ট্রানজেকশন বা লেনদেন সেবা দাতা ও গ্রহিতার ‘ওয়ালেট’ থেকে ‘ওয়ালেটে’ সম্পন্ন হয়। কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন হয় না। ব্লকচেইনে সর্বপ্রথম ট্রানজেকশনের হিসাব থেকে এখন পর্যন্ত ঘটা সব হিসাব সংরক্ষিত আছে এবং এ ডাটাবেইজ নিয়মিতভাবে আপডেট হচ্ছে। যে পদ্ধদিতে এইসব নথিপত্র ভবিষ্যতের জন্য জমা করা হয় তাকে লেজার বলে।








    Website er Cookies Ki - কুকিজ হলো ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমোরিতে জমা হওয়া কিছু এনক্রিপ্ট করা টেক্সট ফাইল। যখন কেউ ইন্টারনেট ব্রাউজ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যায় তখন ওয়েবসাইট গুলি ওয়েবসাইটগুলির নেভিগেশন এবং নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপগুলি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করার জন্য ব্রাউজারকে কিছু ফাইল পাঠায় এই ফাইলগুলি ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে জমা হয়। এই ফাইলগুলিকেই কুকিজ বলা হয়।


    যখন কেউ কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করে তখন সেই ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর গতিবিধি নজরদারিতে রাখতে কুকিজ ব্যবহার করে। অর্থাৎ কেউ যদি কোনো E-Commerce সাইটে ভিজিট করে সেখানে লগ ইন করে এবং কেনাকাটা করার জন্য বিভিন্ন পণ্য দেখতে থাকে তখন ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর এই সব আচরণ অনুসরণ করে যাতে করে তারা তাদের ওয়েবসাইটকে আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং পার্সোনালাইজড করতে পারে। ব্যবহারকারীর লগ ইন করার তথ্য সহ আরো অন্যান্য তথ্যগুলো টেক্সট ফাইল আকারে কুকিজ হিসেবে ব্রাউজারের কাছে পাঠায়। পরবর্তিতে যখন সেই ব্যবহারকারী আবার ঐ ওয়েবসাইটে ভিজিট করে তখন সেই ওয়েবসাইট ব্রাউজারে অবস্থিত কুকিজ এর সাহায্যে ব্যবহারকারী এবং তার ক্রিয়াকলাপ কে মনে রাখতে পারে।


    আবার এই কুকিজগুলি বিজ্ঞাপন এর জন্যেও ব্যবহৃত হয়। কুকিজ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দমতো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানো হয়। প্রতিবার একই ওয়েবসাইট ভিজিট করার ব্রাউজার কুকিজ ফাইলগুলি উদ্ধার করে এবং তা ওয়েবসার্ভারে পাঠায়। ব্যবহারকারী যে ওয়েবসাইট ভিজিট করে সেই ওয়েবসাইট ছাড়াও বিজ্ঞাপন দাতা ওয়েবসাইট, উইজেট বা অন্যান্য পৃষ্ঠা দ্বারাও কুকিজ তৈরি হয়। এই কুকিগুলি বিজ্ঞাপনগুলি কীভাবে প্রদর্শিত হবে, উইজেট এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ন্ত্রণ করে।


    ওয়েবসাইটের কুকিজ কী কুকিজ সম্পর্কে বিস্তারিত


    ব্রাউজার কুকিজ

    যখন কোনো ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইটের সুরক্ষিত অংশে প্রবেশ করে তখন ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করার জন্য এই কুকিজ ব্যবহার করা হয়। ব্রাউজার ব্যবহারকারীর লগ ইন তথ্য কুকিতে সংরক্ষণ করে যাতে করে প্রতিবার একই ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় একই তথ্য পূরণ করতে না হয়।


    সেশন কুকিজ

    ব্যবহারকারী আগে ব্যবহৃত কোনো ওয়েবসাইটের সর্বশেষ যে অংশ ছিলেন পরবর্তি ভিজিটের সময় আবার সেই অংশ থেকে শুরু করতে সেশন কুকিজ ব্যবহার করা হয়। ওয়েবসার্ভারগুলি ব্যবহারকারীর পৃষ্ঠা ক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য সেশন কুকি নিয়োগ করে যাতে ব্যবহারকারীরা সার্ভারের সাইটে তাদের ব্রাউজিং সর্বশেষ অবস্থা থেকে পুনরায় শুরু করতে পারে। এই কাজ শুধু মাত্র সেশন কুকিজ এর মাধ্যমেই করা সম্ভব। সেশন কুকি সার্ভারকে বলে দেয় যে ব্যবহারকারীদেরকে কোন পৃষ্ঠা টি দেখাতে হবে। ফলে ব্যবহারকারীদের মনে রাখতে হয় না যে তারা পৃষ্ঠাটি কোথায় ছেড়েছিলো। এই ধরণের ওয়েবসাইটে সেশন কুকিজ প্রায় বুকমার্ক এর মতো আচরণ করে।


    একইভাবে সেশন কুকিজ, ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে শপিং কার্টের পণ্যগুলি মনে রাখতে পারে। এবং একইসাথে প্রয়োজনীয় অর্ডারিং তথ্যগুলোও মনে রাখতে পারে যাতে করে ব্যবহারকারীদের পণ্যগুলি মনে রাখতে না হয়।


    ট্র্যাকিং কুকিজ

    ট্রাকিং কুকিজ ব্যবহারকারীর পছন্দ সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে। অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা ব্যবহারকারীদের ইচ্ছামতো তাদের ওয়েবসাইট এর লেআউট বা থিম পরিবর্তন করতে দেয়। এটি ওয়েবসাইটকে পার্সোনালাইজড করে তোলে ফলে ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করা আরো সহজ হয়ে ওঠে। এসব কাস্টোমাইজেশন এর তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে ট্রাকিং কুকিজ ব্যবহার করা হয়।


    কুকি নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা সমস্যা

    কুকিজ কে ভাইরাসের মতো বলা যাবে না। কুকিজ প্লেইন টেক্সট হিসাবে সংরক্ষণ করা হয়. তারা কোনো কোড কম্পাইল করেনা, ফলে সেগুলি চালানো যায় না। কুকি নিজে থেকে রান হতে পারে না। ফলস্বরুপ কুকি নিজেরদেরকে পুনরায় উৎপাদন করত পারে না এবং তার নিজেরাই নিজেদেরকে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে পারে না। কাজেই কুকিজ প্রথাগত ভাইরাসের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ তারা ভাইরাসের দায়িত্বগুলি সম্পাদন করতে অক্ষম।


    আবার কুকিজকে খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু কুকিজ বিভিন্ন সাইট থেকে ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং ইতিহাস এবং অভ্যসগুলিকে সংরক্ষণ করে তাই এটিকে স্পাইওয়্যার হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।


    দায়িত্বশীল এবং নৈতিক ওয়েব ডেভেলপাররা কুকিজ ট্র্যাকিং দ্বারা উপস্থাপিত গোপনীয়তার সমস্যা গুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে কীভাবে কুকি ব্যবহার করা হয় তার একটি বিশদ বিবৃতি প্রদান করে। গোপনীয়তা নীতির (Privacy Policy) উদ্দেশ্য হলো অনলাইনে ওয়েব ডেভেলপারদের তাদের ওয়েবসাইটে যোগ করার জন্য ওয়েব প্রকাশকদের জন্য পরিষ্কার এবং সহজে বোধগম্য তথ্য তৈরি করতে সহায়তা করা।

     







    ফিশিং (Phishing) কী - আমাদের অনেকেরই বড়শি দিয়ে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় আমরা বড়শি তে টোপ গেঁথে দিতাম। মাছ সেটাকে খাবার মনে করে লোভে পড়ে খেতে আসলেই ধরা পড়তো। এ ক্ষেত্রে আমরা মূলত মাছদের কে ধোকা দিতাম।


    ঠিক একইভাবে ইন্টারনেটে কিছু অসাধু লোক রয়েছে যারা সাধারণ মানুষদেরকে ধোকা দিয়ে তাদের অনেক মূল্যবান তথ্য যেমনঃ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর ইউজার নেম পাসওয়ার্ড, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এর ইউজার নেম পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জরুরী ডকুমেন্টস, এটিএম কার্ডের গোপনীয় তথ্য ইত্যাদি হাতিয়ে নেয়। এখানে হ্যাকার রা ইন্টারনেটে ফাঁদ তৈরি করে রাখে সেই ফাঁদে পা দিলেই ব্যবহারকারিরা নিজের অজান্তেই তাদের সকল তথ্য অন্যজনকে দিয়ে দেয়।

    ফিশিং (Phishing) কী? হ্যাকাররা কীভাবে ফিশিং অ্যাটাক দেয়?

    হ্যাকাররা কোনো প্রতিষ্ঠিত বা পরিচিত ওয়েবসাইটের প্রায় হুবহু নকল তৈরি করে প্রকৃত ওয়েবসাইটের লিংকগুলিকে সামান্য পরিবর্তন করে ফাঁদ হিসেবে ব্যাবহার করে। যেমন তারা জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের লিংক www.facebook.com এর লিংকে সামান্য পরিবর্তন করে www.faceboook.com বা www.faceb00k.com হিসেবে ব্যবহার করে। দেখতে প্রায় একই হওয়ায় ভালোভাবে নজর না দিলে চেনা কঠিন হয়ে পরে। ফলে ভালোভাবে না দেখেই বেশিরভাগ ব্যবহারকারি ধোঁকা খেয়ে যায়।

    হ্যাকাররা কিভাবে ফিশিং অ্যাটাক দেয়?

    হ্যাকাররা মূলত মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে ফিশিং অ্যাটাক দিয়ে থাকে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ধরা যাক, রাজিব এবং সালমান দুই বন্ধু। সালমান, রাজিবের ফেসবুক বা ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চায় এখন সে রাজিবের কাছে একটা লিংক দিয়ে লোভনীয় ইমেইল/মেসেজ করবে (যেমনঃ বিকাশ তাদের ১ যুগ পুর্তি উপলক্ষে সবাইকে ১০০০ টাকা করে দিচ্ছে আমি এই মাত্র ১০০০ টাকা পেলাম। আপনি পেতে চাইলে এই লিংক www.bkaash.com/free-1000-taka এ ক্লিক করুন অথবা আমি এই মাত্র এই লিংক www.faceb00k.com/change-your-facebook-color এ ক্লিক করে ফেসবুকের কালার পরিবর্তন করলাম। আপনিও যদি আপনার ফেসবুকের কালার পরিবর্তন করতে চান তাহলে এখনি এই লিংক এ ক্লিক করে আপনার পছন্দের কালার দিয়ে ফেসবুক সাজিয়ে নিন।) এখন রাজিব যদি টাকার লোভে পড়ে বা ফেসবুকের কালার পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে ঐ লিংক এ ক্লিক করে তাহলে সে সালমানে পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বসবে। সেখানে সালমানের তৈরি করা ফেসবুকের হুবহু নকল হোম পেইজ হবে। সেখানে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেসবুকে লগ ইন করতে বলবে। এখন যদি রাজিব ওটা আসল ফেসবুক মনে করে তার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে  লগ ইন করতে যায় তাহলে সঠিকভাবে লগইন হবে না বরং তার তথ্য গুলো সালমানের ডাটাবেইজ এ চলে যাবে। রাজিব বুঝতেও পারবে না যে তার তথ্যগুলো সালমানের কাছে চলে গিয়েছে কারণ পরেরবার ফেসবুকের আসল পেইজটি ওপেন হবে। সেখানে আবার লগ ইন করলে স্বাভাবিকভাবেই লগইন হয়ে ফেসবুকের হোম পেইজ ওপেন হবে। রাজিব সেখানে  গিয়ে তার উদ্দেশ্য মতো কিছুই পাবে না। ফলে সে হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসবে। এভাবেই হ্যাকাররা সাধারণ মানুষদের ফাঁদে ফেলে তাদের গোপনীয় তথ্যগুলো হাতিয়ে নেয়।


    ফিশিং থেকে বাচতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা। ইনবক্স বা ইমেইল এ পাঠানো কোনো লিংক এ ক্লিক করার আগে লিংক টা যাচাই করে নিতে হবে এবং লোভ পরিহার করতে হবে। পুরষ্কার বা টাকার লোভে পরে কোনো অপরিচিত সাইট এ ঢুকে ফেসবুক বা ইমেইলের ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে কেউ কাউকে এমনি এমনি কিছু দেবে না।


    ফিশিং অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়

    • ফেসবুকে অপরিচিত কাউকে বন্ধু তালিকায় যোগ করা যাবে না।
    • ফেসবুকে টু স্টেপ অথেন্টিকেশন অপশন চালু রাখতে হবে।
    • আন-অথোরাইজড লগইন নোটিফিকেশন অপশন অন রাখতে হবে।
    • অতি উৎসাহি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া অতি লোভনীয় কোনো বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করা যাবে না।
    • কোন এড বা ছবি দেখে অতি উৎসুক হওয়া যাবে না। বিষয়টা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে নিতে হবে।
    • কোনো বিজ্ঞাপন বা লিংক এ ক্লিক করার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃ কিছু দিন আগেই স্বপ্ন সুপার শপ এর একটা লিঙ্ক এসেছিলো, সেখানে বলা ছিলো যে "এখানে ক্লিক করলেই আইফোন গিফট পাবেন।" এসব লিঙ্ক এ কখনো ভূল করেও ক্লিক করা যাবে না।
    • মেসেঞ্জার অথবা ইমেইলে কারো কাছে থেকে আসা কোনো লিংক/ছবি/সংযোজনকৃত ফাইল ডাউনলোড অথবা ক্লিক করার আগে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে।
    • অযাচিত মেইল দেখলে যাচাই করতে নিতে হবে। কেউ যদি আপনাকে মেইল করে টাকা দিতে চায় বা আপনি লটারী জিতেছেন এ জাতীয় মেইল আসে তাহলে তা নির্দ্বিধায় এড়িয়ে যান। কারণ কেউ  টাকার গাছ লাগায়নি। কেউ কখনো এমনি এমনি কাউকে টাকা দিবে না। কেউ যদি এমনি এমনি কিছু দিতে চায় তাহলে বুঝতে হবে তার উদ্দ্যেশ্য ভালো নয়।
    • অন্য কারো পাঠানো লিঙ্ক থেকে আপনার আগে ব্যবহারকৃত কোন সাইটে আসলে আপনাকে যদি সরাসরি এমন পেজে নিয়ে আসা হয় যেখানে আপনাকে লগ ইন করতে হবে তখন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ওয়েবসাইটের ইউ আর এল (ওয়েব অ্যাড্রেস ) চেক করে নিন।
    • ইন্টারনেটের পর্ন ওয়েবসাইট গুলো থেকে পুরোপুরি দূরে থাকতে হবে। পর্ন ওয়েবসাইট এ হাজার হাজার ফাঁদ পাতা থাকে, সেখান থেকে কোন একটার শিকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। পর্ন ওয়েবসাইট এ বেশিরভাগ সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং এর শিকার হয়।