আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম - কেন্দুয়া কলেজ EIIN: 113076
  • রিসেপশন
  • + (88) 01711230814
  • ই-মেইল
  • kendua.com@gmail.com
  • অফিস: লোকেশন
  • কেন্দুয়া পৌরসভা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা।






  • গণিতের জেমস বন্ড পিডিএফ ডাউনলোড । Goniter James Bond PDF Download

    Goniter James Bond PDF Download - গণিতের জেমস বন্ড বইটি জনপ্রিয় অনলাইন গণিত শিক্ষক মোত্তাসিন পাহলভীর লেখা একটি বই। মোত্তাসিন পাহলভী অনলাইনে গণিত শেখানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়। তিনি গণিতের জেমস বন্ড সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অংকের জাদুকর, ম্যাজিক ম্যাথ ইত্যাদি। বইমেলা ২০২১ এ গণিতের জেমস বন্ড বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ গণিতের জেমস বন্ড

    লেখকঃ মোত্তাসিন পাহলভী

    গণিতের জেমস বন্ড বইটির নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এ বইটি গণিতের ওপর লেখা। এ বইটি রাফাত নামের একজন কিশোর চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে, যে গণিত বিষয়ে তার সমবয়সী ছেলেমেয়েদের তুলনায় অনেক পারদর্শী। তার বয়সী ছেলেমেয়েরা যখন ভিডিও গেম খেলে, মুভি দেখে, বসে বসে গল্প করে সময় কাটায়, রাফাত তখন গণিতের বিভিন্ন মজার বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। সে নিজে নিজেই গণিতের অনেকগুলো ম্যাজিক ট্রিক্স আবিষ্কার করে। এবং সে প্রায়ই এই ম্যাজিক ট্রিক্সগুলো তার বন্ধুদের দেখায়। এগুলো দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। রাফাতের দেখানো ম্যাজিকগুলো তার বন্ধুদের এতটাই মুগ্ধ করে যে একদিন বন্ধুরা তাকে ‘গণিতের জেমসবন্ড’ উপাধি দেয়। রাফাতের এই সব বিষয় নিয়েই Goniter James Bond বইটি লেখা হয়েছে।


    Goniter James Bond বইয়ের কিছু অংশ

    মোত্তাসিন পাহলভীর লেখা Goniter James Bond বই থেকে কিছু অংশ সরাসরি নিচে তুলে দেওয়া হলো-


    সবজান্তা গণিতবিদ


    রাফাতের বয়স তখন 10 বছর। সেই বছরই ক্লাস ফোরে উঠেছে। একদিন রাফাতের দাদু রাফাতকে ডেকে বিছানায় বসতে বললেন। এরপর দাদু রাফাতকে একটি গল্প শোনালেন-


    সে বহুকাল আগের কথা। এক রাজ্যে এক সবজান্তা লোক ছিল। তার খ্যাতি সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার খ্যাতির কথা শুনে ঐ রাজ্যের রাজা অনেক রাগান্বিত হলেন এবং তাকে রাজদরবারে ডেকে পাঠালেন। সবজান্তা ব্যক্তিটি রাজদরবারে হাজির হওয়ার পর রাজা তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন-


    তুমি কি সেই সবজান্তা ব্যক্তি? সবজান্তা ব্যক্তিটি উত্তর দিল- জি জাহাঁপনা।


    রাজা এবার বললেন, আমি তোমাকে দুটো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব। প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারলে তুমি পাঁচ শ স্বর্ণমুদ্রা পাবে, আর উত্তর দিতে না পারলে তোমার গর্দান যাবে (অর্থাৎ ফাঁসি দেওয়া হবে)।


    এরপর রাজা প্রশ্ন শুরু করলেন।


    রাজদরবারের সামনে একটি চৌবাচ্চা লক্ষ করে রাজা বললেন, চৌবাচ্চাটিতে কত পেয়ালা (কাপ) পানি ধরে?


    প্রশ্নটি শুনে সবজান্তা ব্যক্তিটি হেসে বলল, এর উত্তর তো খুবই সহজ। যদি পেয়ালার (কাপ) আকার চৌবাচ্চার সমান হয়, তবে এক পেয়ালা; আর যদি পেয়ালার আকার চৌবাচ্চার অর্ধেক হয়, তবে দুই পেয়ালা। আর তিন ভাগের এক ভাগ হলে তিন পেয়ালা আর...


    ব্যক্তিটির উত্তর শুনে রাজদরবারের সবাই হতবাক হয়ে গেল।


    রাজা বললেন, তা না হয় বুঝলাম। এবার আর একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।


    বলো দেখি, এই রাজ্যে মোট কতটি কাক আছে?


    সবজান্তা ব্যক্তিটি হেসে উত্তর দিলেন ৯,৯৯৯ টি। যদি হিসাব করে এর চেয়ে বেশী পান, তবে বুঝবেন বাহির থেকে কিছু কাক নতুন করে রাজ্যে ঢুকেছে; আর যদি কম পান, তাহলে বুঝবেন রাজ্য থেকে কিছু কা বাহিরে গিয়েছে।


    সবজান্তা ব্যক্তিটির বুদ্ধিমত্তা দেখে রাজা খুশি হয়ে তাকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পাঁচ শ স্বর্ণমুদ্রা উপহার দিলেন।


    এরপর দাদু বললেন,


    সবজান্তা ব্যক্তিটি যেভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে  সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, তেমন গণিতও এমন একটি বিষয় যা দিয়ে যেকোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব।


    You can Goniter James Bond PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Goniter James Bond PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    শাওনের বয়ানে হুমায়ূন পিডিএফ ডাউনলোড | Shawoner Boyane Humayun PDF Download


    Shawoner Boyane Humayun PDF Download - শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটি হুমায়ূন আহম্মেদ কে নিয়ে লেখা শোয়েব সর্বনাম এর একটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক বই। সোয়েব সর্বনাম বাংলাদেশের একজন কবি, কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, গীতিকার, কলামিস্ট, সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র সংসদকর্মী। তার লেখা শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে আজব প্রকাশ।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ শাওনের বয়ানে হুমায়ূন

    লেখকঃ শোয়েব সর্বনাম

    ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে পাঠকের অনেক কৌতুহল, কিন্তু তারা হয়তো সরাসরি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটিতে তাদের মনে জমে থাকা প্রশ্নগুলো আমাকে করেছেন শোয়েব সর্বনাম।


    উত্তর পেয়ে অনেকের হয়তো ভালো লাগবে, অনেকের মায়া লাগবে, অনেকের হয়তো রাগ হবে। তবে, আশা করছি, আপনাদের কৌতুহল কিছুটা মিটবে।


    অনেকেই সাহসী প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সূক্ষ্মভাবেও সাহসী প্রশ্নের উত্তর বের করে আনা যায় তা অনেকেই হয়তো পারেন না। শোয়েব সর্বনাম যখন আমার সঙ্গে প্রথম বসলো, দেখা গেলো আমার যা যা বলার ছিল তারচেয়ে আমি বেশিই বলেছি। এক গল্প থেকে আরেকগল্পে যেতে যেতে মনে হয়েছে প্রশ্নগুলো নিয়ে একটি বইয়ের মতো হতে পারে। সেখান থেকেই এই বইটির পরিকল্পনা।


    যে কথাগুলো ভেবেছিলাম কখনই কাউকে বলা হবে না, সেরকম অনেক কথাই এখানে বলা হয়ে গেছে, যা ইন্টারভিউয়ের শুরু আমি নিজেও ভাবিনি। আমি বুঝতে পারছিলাম না সব কথা বলা আমার ঠিক হয়েছে কিনা।


    আমিও আসলে এমন সব কথা বলেছি যা আমার কাছ থেকে কেউ বের করে নিতে পারেনি।


    শাওনের বয়ানে হুমায়ূন বইটির প্রথম সংস্করণ এত দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে ভাবতে পারিনি। হুমায়ূন আহমেদের পাঠকদের সাথে স্মৃতিগুলো ভাগ করে নিতে পারার এ অভিজ্ঞতাটা সত্যিই আনন্দের।


    - মেহের আফরোজ শাওন


    Shawoner Boyane Humayun বইয়ের কিছু অংশ

    গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূনের প্রেমের গল্প সকলেই জানেন। স্কুলপড়ুয়া অবস্থায় হুমায়ূনের উপন্যাস পইড়া গুলতেকিন তার প্রেমে পড়েন। অতঃপর বিয়েও করেন। যদিও সেই বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে নাই। গুলতেকিনই কি হুমায়ূনের প্রথম প্রেম? শাওন জানাইতেছেন, না। তরুণ বয়সে আরো একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন হুমায়ূন। হুমায়ূন তার আত্মজৈবনিক বইগুলাতে অনেক কথাই বলছেন। কিন্তু, প্রথম প্রেমের গল্প কোথাও বলেন নাই। শাওনের কাছে জানা যায়, নীলু নামের এক তরুণীর প্রেমে পড়ছিলেন হুমায়ূন। নীলু সম্ভবত হুমায়ূনের খুবই প্রিয় ছিলেন। তার অনেক উপন্যাসেই নীলুকে বারবার আসতে দেখা যায়। তবে এর কারণ প্রেম না অপরাধবোধ সেইটা গবেষকরা খুঁইজা বাইর করবেন। প্রথম জীবনে নীলুকেই বিয়ে করার কথা ছিল এই কিংবদন্তি সাহিত্যিকের। পরিকল্পনামতো, নীলু বাড়ি থেকে ব্যাগ গুছায়া নিয়া রেলস্টেশনে চইলা আসেন। হুমায়ূনের সেইখানে আগে থেকেই হাজির থাকার কথা। তিনি হাজিরও ছিলেন। কিন্তু কোনো এক রহস্যময় কারণে সেইদিন মেয়েটার মুখোমুখি হন নাই। বেচারি নীলু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে একা একাই ট্রেনে উঠে পড়ে। দূর থেকে নীলুকে ট্রেনে উঠতে দেখার পর একাই বাড়িতে ফিরত আসেন হুমায়ূন। এর বহু বছর পর ‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমার শুটিংয়ে নীলুর সাথে দেখা হয় হুমায়ূনের।


    You can Shawoner Boyane Humayun PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Shawoner Boyane Humayun PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    Muhammed Zafar Iqbal New Books PDF Download - মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়। তিনি সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। জাফর ইকবালের অনেক জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস রয়েছে। তিনি প্রতি বছরই নতুন বই প্রকাশ করে থাকেন। এবারের বইমেলা ২০২২ এও তিনি মোট ৪টি নতুন বই প্রকাশ করেছেন।


    দেখে নিনঃ


    মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২২ পিডিএফ ডাউনলোড


    জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২২

    নাম্বার বইয়ের নাম ক্যাটাগরি পিডিএফ
    ০১ আমার ডেঞ্জারাস মামী কিশোর উপন্যাস ডাউনলোড
    ০২ আমি পরামানব সায়েন্স ফিকশন ডাউনলোড
    ০৩ ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ ইলেক্টনিক্স ডাউনলোড
    ০৪ আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু কিশোর উপন্যাস ডাউনলোড


    ২০২২ সালের বই মেলায় প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন ৪টি বই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-


    আমার ডেঞ্জারাস মামী

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি টুলুর মামীর কাহীনি নিয়ে লেখা হয়েছে। টুলু বড় হয়ে যে কাজ গুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল টুলুর নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাকটিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জেলে গিয়েছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন। সোজা কথায় এমন কোনো কাজ নেই যেটা নীরা মামী করেন নাই। আরো যে কয়েকটা বাকী ছিল এখন মনে হয় সেগুলোও করে ফেলেছেন। এই সব ঘটনা গুলো নিয়েই লেখা হয়েছে আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি।

    Download/download/button


    আমি পরামানব

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আমি পরামানব বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশনী। আমি পরামানব বইটি পৃথিবীর একটা খারাপ সময়কে নিয়ে লেখা হয়েছে। যখন পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এক দুইজন মানুষের হাতে কেন্দ্রিভুত। তারা তাদের বিশাল সম্পদ নিয়ে কী করবে সেটা জানে না। তারা মানুষের ভূমিকায় না থেকে ঈশ্বর হতে চায়। এইজন্য তারা নতুন প্রজাতির অতিমানব জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করে। একই সাথে প্রকৃতি তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি করে পরামানব। এই পরামানব কে নিয়েই আমি পরামানব সাইন্স ফিকশন টি লেখা হয়েছে।

    Download/download/button


    ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। আমি জানি কারো যদি শখ থাকে তাহলে কিছু একটা শিখে নেওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। তাই ভাবলাম যাদের ইলেকট্রনিকস শেখার শখ আছে কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না তাদের জন্য একটা বই লিখলে কেমন হয়? সেই জন্য এই বই।

    Download/download/button


    আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি পাবলিকেশন্স। আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোতে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু শিরোনামে ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করলে সেটা কিশোরদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পাঠকদের অনুরোধে লেখক নিয়মিত টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজ লিখতে থাকেন। পরবর্তিতে সেই গল্প গুলোকে বই আকারে রূপ দেওয়া হয়।

    Download/download/button








    মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পিডিএফ ডাউনলোড
    Muhammed Zafar Iqbal Science Fiction

    Muhammed Zafar Iqbal Science Fiction PDF Download - মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়। তিনি সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। জাফর ইকবালের অনেক জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস রয়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-


    জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পিডিএফ

    নাম্বার বইয়ের নাম পিডিএফ
    ০১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রুহান রুহান ডাউনলোড
    ০২ আমি পরামানব ডাউনলোড
    ০৩ বন বালিকা ডাউনলোড
    ০৪ ইকারাস ডাউনলোড
    ০৫ মিতুল ও তার রবোট ডাউনলোড
    ০৬ ডাউনলোড
    ০৭ ত্রিনিত্রি রাশিমালা ডাউনলোড
    ০৮ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অনুরন গোলক ডাউনলোড
    ০৯ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অন্ধকারের গ্রহ ডাউনলোড
    ১০ টুকুনজিল ডাউনলোড
    ১১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিঃসঙ্গ গ্রহচারী ডাউনলোড
    ১২ ক্রোমিয়াম অরণ্য ডাউনলোড
    ১৩ নয় নয় শূন্য তিন ডাউনলোড
    ১৪ পৃ ডাউনলোড
    ১৫ একজন অতিমানবী ডাউনলোড
    ১৬ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মেতসিস ডাউনলোড
    ১৭ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ইরন ডাউনলোড
    ১৮ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ফোবিয়ানের যাত্রী ডাউনলোড
    ১৯ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ত্রাতুলের জগৎ ডাউনলোড
    ২০ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ফিনিক্স ডাউনলোড
    ২১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সুহানের স্বপ্ন ডাউনলোড
    ২২ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী জলমানব ডাউনলোড
    ২৩ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নায়ীরা ডাউনলোড
    ২৪ পিশাচিনী ডাউনলোড
    ২৫ অক্টোপাসের চোখ ডাউনলোড
    ২৬ বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা ডাউনলোড
    ২৭ টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান ডাউনলোড
    ২৮ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কেপলার টুটুবি ডাউনলোড
    ২৯ ওমিক্রণিক রূপান্তর ডাউনলোড
    ৩০ মহাকাশে মহাত্রাস ডাউনলোড
    ৩১ কপোট্রনিক সুখ দুঃখ ডাউনলোড
    ৩২ বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার ডাউনলোড
    ৩৩ সায়রা সায়েন্টিস্ট ডাউনলোড
    ৩৪ অনুরন গোলক ডাউনলোড
    ৩৫ রবো নিশি ডাউনলোড
    ৩৬ ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম ডাউনলোড
    ৩৭ বেজি ডাউনলোড
    ৩৮ মেয়েটির নাম নারীনা ডাউনলোড
    ৩৯ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী যারা বায়োবট ডাউনলোড
    ৪০ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী জলজ ডাউনলোড
    ৪১ অবনীল ডাউনলোড
    ৪২ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী - রবোনগরী ডাউনলোড
    ৪৩ শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু ডাউনলোড
    ৪৪ ক্রুগো ডাউনলোড
    ৪৫ সিস্টেম এডিফাস ডাউনলোড
    ৪৬ এনিম্যান ডাউনলোড
    ৪৭ আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা ডাউনলোড
    ৪৮ ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা ডাউনলোড


    এখানে জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন গুলো দেওয়া হলো। এছাড়াও মুহম্মদ জাফর ইকবালের আরো অনেকগুলো সায়েন্স ফিকশন রয়েছে। alert-info








    Grinit PDF Download | গ্রিনিট পিডিএফ ডাউনলোড - ড. যুবায়ের আহমেদ


    Grinit PDF Download - গ্রিনিট বইটি ড. যুবায়ের আহমেদ এর লেখা একটি নতুন বই। এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। ড. যুবায়ের আহমেদ সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে পরিচিত। গ্রিনিট বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে বইবাজার প্রকাশনী।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ গ্রিনিট

    লেখকঃ ড. যুবায়ের আহমেদ

    ‘সার্ভার সিকিউরিটি টিম কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটেছে সব, মার্শিয়ানদের সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তারা কিছুই করতে পারেনি, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে যার কারণে জেফ কলোনি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি’, এক নাগাড়ে বলে থামল উইলিয়াম।

    ঝট করে ম্যাক্সের দিকে তাকাল নিও, ম্যাক্সও তাকিয়ে আছে নিওর দিকে। চোখে চোখে যেন কথা হয়ে গেল দুজনের।

    ওদের এভাবে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক হল উইলিয়াম, ‘তোমরা কিছু জানো নাকি?’  

    ‘কিছু জানি বললে ভুল হবে’, উইলিয়ামের দিকে ফিরল ম্যাক্স’, কিন্তু ‘কিছু একটা হয়েছে’ এর উত্তর হয়ত দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে পারব’।  

    উইলিয়ামের চোখে বিষ্ময় আর কৌতুহল, ‘খুলে বল তো বিষয়টা?’


    Grinit বইয়ের কিছু অংশ

    ঘুমটা ভাংতেই ঘড়িতে চোখ পড়ল, আটটা প্রায় ছুঁই ছুঁই। মাথা নষ্ট হয়ে গেল ম্যাক্সের, লেইট।


    পড়িমরি করে উঠে দ্রত রেডি হয়ে নিল, ফ্রিজ খুলে বের করে নিল একটা ঠান্ডা বার্গারের প্যাকেট। বসে খাওয়ার সময় নেই, যেতে যেতে খেতে হবে।


    ব্যাগটা পিঠে চাপিয়ে রোভার বোর্ডটা হাতে নিয়ে বের হয়ে আসল রাস্তায়। কন্ট্রোলার গ্লাভস হাতে পরে থ্রাস্টার এঞ্জিন চালু করে পায়ের নিচে দিল বাের্ডটা।


    ছুটতে শুরু করল ব্যস্ত রাস্তা ধরে। মাটি থেকে প্রায় দুই ফুট উচ্চতায় ভেসে চলছে বাের্ডটা।


    ঠাস ঠাস শব্দ হচ্ছে এঞ্জিনে, কিছুটা বিরক্তির আভা ফুটে উঠল ম্যাক্সের চেহারায়, আবার এঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।


    বার্গার হাতে নিয়ে খেতে শুরু করল চলতে চলতেই বাইরের আলােয আসার সাথে সাথে বার্গারের প্যাকেটে ভেসে উঠল বিজ্ঞাপন। খাবারের প্যাকেটগুলােও ফোল্ডেবল প্লাস্টিক স্ক্রিন দিয়ে বানায় কোম্পানিগুলাে।


    একজন শেফ বার্গার বানাচ্ছে, কিন্তু প্যাকেটটা অনেকটাই দুমড়ে-মুচড়ে আছে দেখে ভিডিও বিজ্ঞাপনটা ভালােভাবে বােঝা যাচ্ছে না, বােঝার ইচ্ছাও নেই ম্যাক্সের। আশপাশের পথচারীরা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। সেটা নিয়ে বিচলিত না সে, সয়ে গেছে পথচারীদের অদ্ভুত দৃষ্টি।


    ওর স্কেট বাের্ডটা বাজারের আন্ট্রা স্লিম হােভার স্কেট বাের্ডের মতাে দেখতে না, অনেকটা ঢাউস সাইজের জঞ্জালের মতাে। এটাই পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের মূল কারণ।


    সামনে একটু জ্যামের মতাে দেখতে পেল ম্যাক্স, বাের্ডে একটু বাম্পিং করে লাফিয়ে উঠে পড়ল ফুটপাথে, ছুটতে শুরু করল পথচারীদের পাশ কাটিয়ে।


    এরেনা রােডের শেষ মাথায় ট্রাফিক সিগনালের কাছাকাছি আসতেই হাতের কন্ট্রোলিং গ্লাভসের পাওয়ার বাটন চেপে এঞ্জিন অফ করে দিল, বাের্ড থেকে নেমে বাের্ডটা কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটা শুরু করল ফুটপাথের ওপর দিয়ে।


    হােভার বাের্ডে লাইসেন্স ডট কোড থাকা লাগে, ম্যাক্সের বাের্ডে সেটা নেই। প্রতিটা এঞ্জিন চালিত বাহনেই এই রেজিস্ট্রি কোড থাকা লাগে। তাই সিগনাল পােস্টের কোড রিডিং এরিয়াটা ওকে পেরােতে হবে পথচারীর মতাে।


    অযথা পুলিশি ঝামেলায় পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ট্রাফিক ক্যামেরা তার কাঁধে ঝােলানা জঞ্জালটা বস্তুত কি সেটা না বুঝে ফেললেই হয়। সিগনালের ডট কোড রিডিং এরিয়া পেরিয়েই আবার বাের্ডে চড়ে ছুটতে শুরু করল ম্যাক্স।


    তার হােভার বাের্ড জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড না।


    গ্লোবাল ট্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে (জিটিসিএস) এন্ট্রি না থাকলে অবশ্য অ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, প্রতিটা যানবাহনের অনবাের্ড কম্পিউটার পারস্পরিক কমিউনিকেশন রাখে কোনটা কখন কোথায় পার্কিং করবে বা কোন বাহন কোন বাঁকে টার্ন নেবে।


    সবগুলাে বাহনের গন্তব্যের রাউটিং এবং টাইমিং প্রিম্যাপিং জিটিসিএস এ রেজিস্ট্রি হয়ে যায় যাত্রার শুরুতেই। সাথে রিয়েল টাইম রেজিস্ট্রি চলতে থাকে, যাতে প্রতিটা বাহনের অনববার্ড কম্পিউটার পিকোসেকেন্ডের মধ্যেই তার আশপাশের এক কিলাের মধ্যে যত গাড়ি আছে তার গতিপথ আর সিদ্ধান্ত জেনে নিতে পারে এবং আসন্ন দুর্ঘটনা এড়াতে পারে।


    ম্যাক্সের বাের্ড যেহতু সিস্টেমকে কোনাে তথ্যই দিচ্ছে না, তাই তার যাত্রা পথের কোনাে তথ্য আশপাশের বাহনগুলাে পাচ্ছে না। এই কারণেই এঞ্জিনের ডট কোড স্ক্যান করে চেক করা হয় সেই বাহন জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড কিনা ...


    You can Grinit PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Grinit PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    Amar Dangerous Mami pdf download । আমার ডেঞ্জারাস মামী pdf download


    Amar Dangerous Mami pdf download - আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি কিশোর উপন্যাস। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের ২০২১ এ কিশোর উপন্যাস আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। ২০২১ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমার ডেঞ্জারাস মামী সহ অপারেশন নীলাঞ্জনা, বন বালিকা, যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বই গুলো প্রকাশ করেছে।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ আমার ডেঞ্জারাস মামী

    লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

    আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি টুলুর মামীর কাহীনি নিয়ে লেখা হয়েছে। টুলু বড় হয়ে যে কাজ গুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল টুলুর নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাকটিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জেলে গিয়েছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন। সোজা কথায় এমন কোনো কাজ নেই যেটা নীরা মামী করেন নাই। আরো যে কয়েকটা বাকী ছিল এখন মনে হয় সেগুলোও করে ফেলেছেন। এই সব ঘটনা গুলো নিয়েই লেখা হয়েছে আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি।


    Amar Dangerous Mami বইয়ের কিছু অংশ

    বিভীষিকা

    হ্যা, এক শব্দে যদি কেউ আমার জীবনটাকে ব্যাখ্যা করতে চায় তাহলে সেই শব্দটা হবে বিভীষিকা । কেউ যেন মনে না করে আমার চারপাশে যারা আছে তারা বুঝি সবাই মিলে আমার জীবনটাকে বিভীষিকাময় করে রেখেছে, মোটেও সেরকম কিছু নয়। বরং উলটোটাই সত্যি আমার বাসার সবাই, স্কুলের বন্ধু-বান্ধব (এক দুজন রাক্ষসী টাইপ স্যার ম্যাডাম ছাড়া), অন্য সব স্যার ম্যাডাম সবাই খুবই ভালো সত্যি কথা বলতে কী, আমিই একটু পাজী টাইপের, ইচ্ছা না থাকলেও কীভাবে জানি একটার পর একটা ঝামেলা পাকিয়ে ফেলি। কিন্ত তারপরেও আমার নিজের কাছে মনে হয় আমার জীবনটা একটা মূর্তিমান বিভীষিকা।


    আমাদের বাসায় আছেন আব্বু, আম্মু, বড় বোন মিলা, আমি টুলু আর ছোটো ভাই পিলু। আব্বুকে দিয়ে শুরু করা যাক। আব্বু হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভুলোভালা মানুষ। এরকম একজন মানুষ কেমন করে কলেজে প্রফেসর হতে পারেন আমি সেটা চিন্তা করেও পাই না। আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় আব্বু নিশ্চয়ই মাঝেমধ্যে ভুলভাল কলেজে গিয়ে ভুলভাল ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে চলে আসেন। পড়ানও নিশ্চয়ই ভুলভাল জিনিস কিন্তু আজকালকার ছাত্রছাত্রীরা সেটা মনে হয় বুঝতেও পারে না। আব্বুর কাজকর্ম দেখে আম্মু মাঝে মাঝেই মাথা নেড়ে বলেন, “আমার সাথে বিয়ে না হলে তোমার যে কী হতো!”


    কথাটা মনে হয় সত্যি, তাই আব্বু কেমন যেন বাচ্চা মানুষের মতো মাথা নেড়ে হাসেন, তারপরে বলেন, “ঠিকই বলেছ। তুমি আমাকে বিয়ে করেছিলে বলেই টিকে আছি।”


    আম্মু বলেন, “আমি তোমাকে বিয়ে না করলে অবশ্য তোমার কোনোদিন বিয়েই হতো না। কোন মেয়ের মাথা খারাপ হয়েছে যে তোমাকে বিয়ে করবে?”


    “আব্বু কোনো কথা না বলে আবার মাথা নাড়েন আর হাসেন। আমার সন্দেহ হয় যে আম্মু কী বলেছেন আব্বু এর মাঝে সেটাও নিশ্চয়ই ভুলে গেছেন। যাই হোক, এখন কথা হচ্ছে এরকম ভুলোভালা একজন মানুষ আমার জীবনে বিভীষিকা হয় কেমন করে?


    সেটার অনেক কারণ আছে একটা হচ্ছে আমার স্কুল। আমার নতুন স্কুলটা একটা ঢংয়ের স্কুল, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েই তাদের শাস্তি নাই, ঢং করার জন্য তাদের মাঝে মাঝেই ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়েদের সাথে কথা বলতে হয়। যারা নেকু নেকু টাইপের আঠা আঠা ভালো স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েরা কত ভালো করছে তখন তারা মহাখুশী হয়ে ফিরে আসেন। ঝামেলাটা হয় আমার মতো দুই চারজনের-যাদের লেখাপড়ার কোনো ইচ্ছা নাই, ক্লাসের ছেলেমেয়েদের সাথেও যারা মাঝেমধ্যে একটু মারামারি করে, যাদের ক্রিকেট বল. জানালার কাচ ভেঙে যায়, যারা লাইব্রেরির বই হারিয়ে ফেলে এক্রকম্‌ ছেলেমেয়েদের। আমি চেষ্টা করি আব্বুকে নিয়ে যেতে, আম্মু যদি সব অপকর্মের কথা জেনে যায় তাহলে পরে বিপদ হতে পারে ।


    শেষবার যখন আব্বুকে নিয়ে গেছি তখন জিনিয়া ম্যাডাম কাগজপত্র দেখে আব্বুকে বললেন, “আপনার ছেলের মনে হয় ডিসিপ্লিন নিয়ে একটু সমস্যা আছে।”


    আব্বুর কথাটা বুঝতে একটু সময় লাগল, তারপর বুঝলেন ভুলভাবে । আব্বু হা হা করে হাসার চেষ্টা করে বললেন, “কার নাই? ইংরেজি ল্যাংগুয়েজটাই একটা সমস্যা। ডিসিপ্লিন শব্দটার মাঝে এস এর পর বাড়তি একটা সি দেওয়ার দরকার কী? মাঝে মাঝে আমারই প্যাচ লেগে যায়। তারপর ধরেন নিমোনিয়া শব্দটা”


    জিনিয়া ম্যাডাম মুখ শক্ত করে বললেন, “না, আমি বানান নিয়ে কথা বলছি না। আমি বলছি ডিসিপ্রিন ব্যাপারটা নিয়ে । আমার কাছে বিশাল লিস্ট”


    আব্বু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন । মনে হয় বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তার ছেলের ডিসিপ্রিন নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে।


    জিনিয়া ম্যাডাম মুখটাকে রাক্ষুসীর মতো করে বললেন, “মনে হয় লেখাপড়াতেও মন নেই। সব সাবজেক্টে টেনেটুনে পাশ । গণিতের অবস্থা ভয়াবহ।”


    আমি না শোনার ভান করে গভীর মনোযোগ দিয়ে আমার বাম হাতের কেনে আঙুলটা পরীক্ষা করতে লাগলাম । শুনলাম রাক্ষুসী ম্যাডাম বলছেন, “এই যে গণিত পরীক্ষার খাতাটা এখানে আছে। প্রশ্ন করা আছে যতজন শ্রমিক তত টাকা মজুরি হিসেবে এত টাকা দেওয়া হয়েছে, শ্রমিকদের মজুরি কত। আপনার ছেলে কী লিখেছে জানেন?"


    আমি শুনলাম আবু দুর্বল গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “কী লিখেছে?”


    সে লিখেছে, “শ্রমিকদের যথেষ্ট মজুরি দেওয়া হয় নাই। এটি অন্যায় এবং অমানবিক। এটি একধরনের শোষণ ।” রাক্ষুসী ম্যাডাম একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “শোষণ বানানটা ভুল ।"


    আমি চোখের কোনা দিয়ে আব্বুর মুখের দিকে তাকালাম, দেখলাম তার ঠোটের কোনায় এক চিলতে হাসি। আব্বু মনে হলো অনেক কষ্ট করে তার হাসিটা গোপন করে জিজ্ঞেস করলেন, “এই উত্তর লিখে সে কত পেয়েছে?”


    রাক্ষুসী ম্যাডাম আবার একটা ফেলে বলেন, “মাইনাস টেন।”


    আব্বু বললেন, “ভুল তো শূন্য দিলেই হতো ।”


    আমি মাথা নেড়ে আব্বুর করব কিনা বুঝতে পারলাম না, শেষ পর্যন্ত না শোনার ভান করে পরের আঙুলটা পরীক্ষা করতে লাগলাম । যখন বাসায় আসছি তখন আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম, “আব্বু তুমি কি আমার ওপর রাগ হয়েছ?”


    “রাগ? কেন?” মনে হলো আব্বু এর মাঝে সবকিছু ভুলে গেছেন।


    আমি বললাম, “এই যে পরীক্ষায় কম নম্বর পাচ্ছি। স্যার ম্যাডামরা রাগ । আমার ডিসিপ্লিন নিয়ে সমস্যা।”


    আব্বু বললেন, “ও আচ্ছা! সেই ব্যাপার? বুঝতে পারছি না রাগ হব নাকি অবাক হব। কীদব না হাসব।” দরকার নাই খুশী হওয়ারও দরকার নাই, হাসারও দরকার নাই কাঁদারও দরকার নাই।”


    “তাহলে?” ........




    Download/download/button
    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.

    নোটঃ কপিরাইটের কারণে Amar Dangerous Mami pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning







    Dr. Kijil Prarambha PDF Download | ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ পিডিএফ ডাউনলোড


    Dr. Kijil Prarambha PDF Download -  ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ বইটি তরুণ লেখক মাশুদুল হক এর লেখা একটি নতুন বই।  এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। মাশুদুল হক পেশায় লেখক ও চিকিৎসক। তিনি থ্রিলার, ফ্যান্টাসি ও সায়েন্স-ফিকশন গল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর সাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন। ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে আফসার ব্রাদার্স।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ

    লেখকঃ মাশুদুল হক

    সদ্য জুওলজিতে মাস্টার্স শেষ করা হাসান ঘটনাক্রমে পরিচিত হয় প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর কিবরিয়া জিল্লুর লস্কর ওরফে কিজিলের সাথে। কিজিল মানুষ হিসেবে অদ্ভূত ও খাপছাড়া, বিপজ্জনকও। তার রিসার্চ অ্যাসিটেন্ট হিসেবে যোগ দিয়ে হাসানের শুরু হয় আনকোরা ভিন্ন এক জীবন । সবার চোখের আড়ালে কি ভীষণ সব কাজ করে বেড়াচ্ছে লোকটা সেটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দুরুহ। ডক্টর কিজিল ও তার সহকারীর সেসব বিচিত্র অভিযানে আপনাকে আমন্ত্রণ।


    Dr. Kijil Prarambha বইয়ের কিছু অংশ

    ডক্টর কিজিলের সাথে আমার পরিচয় পর্বটা বেশ  অস্বস্তিকর ছিল। তাই নিতান্ত আপনজন না হলে এই গল্প আমি কারো সাথে করতে চাই না। কিন্ত কিজিল কে নিয়ে লিখতে বসেছি যখন তখন সেটা আর না করে উপায় কী!

    তার আগে বলে নেই, এই লেখাটা কেন লিখছি নিজেও জানি না। হতে পারে মানুষ তার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে- সেকারণেই। লেখাটা ডায়রির মতো করে লিখতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু ঘটনাগুলাে লিখে রাখবাে সে চিন্তাটা মাথায় অনেকদিন পর আসে, তাই গল্পের মতাে করেই লিখছি।

     

    ড. কিজিলের সাথে পরিচয়ের আগ পর্যন্ত তাকে আমার জানা ছিল না, এমন জ্বলজ্যান্ত এক অদ্ভুতুড়ে মানুষ আমাদের মাঝে ঘাপটি মেরে ছিল সেটা কে ভাবতে পেরেছিল!


    গুটিকয়েক লােক যারা তাকে নামে জানে তারাও তাকে চিনতাে ভিন্ন পরিচয়ে, তিনি একজন শখের দাবারু- গ্রান্ডমাস্টার খেতাবটাও তার আছে। অবশ্য এখন আর কোনাে প্রতিযােগিতায় আসেন না, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তার বিশাল সম্পত্তি আর পারিবারিক ব্যাবসা দেখাশােনা করেন- অধিকাংশ মানুষের জানার সীমা এতটুকুই তার সম্পর্কে।


    লােকে যেটা জানতাে না সেটা হলাে তিনি একাধারে বেশ বড়মাপের জিন প্রকৌশলী, ম্যাথমেটিশিয়ান, পদার্থবিদ আর বায়ােকেমিস্ট- তার বাকি পরিচয়গুলাে তিনি কোনাে এক কারণে সুকৌশলে গােপন করে রেখেছেন।


    তাকে রীতিমতাে প্রডিজি বলা চলে, যৌবনের পুরােটা সময় ব্যয় করেছেন হাফ ডজন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেশে-বিদেশে ঘুরে, তার বাপ মারা যাওয়ার পর পরিবারের বাকিদের অনুরােধে তিনি স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন, তবে পরবর্তীতে তাদের সাথে ঝামেলা হওয়ায় পারিবারিক সম্পত্তির নিজেরটুকু বুঝে নিয়ে আলাদাভাবে একটা কোম্পানি খুলে ব্যবসা শুরু করেন।


    বিয়ে করেছিলেন। তবে কোনাে এক কারণে খুব দ্রুতই তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাই আত্মীয়স্বজন কেউই তাঁর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। নিজের কিছু প্রজেক্ট নিয়ে নিভৃতে থাকতে ভালােবাসেন, কেউ ঘটানােরও সাহস পায় না।

     

    বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যখন জুওলজিতে মাস্টার্স কমপ্লিট করি তখন আমার এক কোর্স টিচারের মুখে প্রথম তার নাম শুনি, বায়ােটেকনলজিতে কিজিলের অবদানস্বরূপ একটা জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনােনীত করা হয়।


    কিন্তু কোনাে এক কারণে তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন, তাঁর অবদান ছিল মাত্র দু'সপ্তাহে ফলবে এমন একটা ফসলের জেনােম তিনি বের করেন। যদিও প্রজেক্টার কথা পরে আর কখনাে শুনিনি।


    তবে এসব ছাড়াও তাঁকে যে বিস্তর চেনার রয়েছে সেটা তাঁর সাথে পরিচয় না হলে আমার বা আপনারা যারা আমার লেখাটা পড়ছেন- কারােরই হয়তাে জানা হতাে না। (Dr. Kijil Praromvo PDF Download)


    তাহলে এবার সেদিনের ঘটনায় আসা যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আমি যখন মােটামুটি প্রস্তুত কর্মময় জীবনের জন্য ঠিক এমন সময়ই আবার সেই কিজিলের নামটা চোখে পড়লাে নামটার মধ্যে কী একটা ব্যাপার ছিল বলে আমি ভুলতে পারিনি, পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে গেল। রিসার্চ অ্যাসিটেন্ট, কন্ট্রাকচুয়াল, জুওলজিতে স্নাতক প্রার্থী, জরুরি। আগামীকাল সকাল ৮ টায় ইন্টারভিউ, ঠিকানা আর নীচে বিজ্ঞাপন- দাতার নাম ‘ড. কিজিল'। আমি চট করে মনস্থির করে ফেললাম, ইন্টারভিউটা আমি দেব।


    সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল না ঠিক ছিল এখনাে জানি না, তবে সেটা আমার জীবনটা পাল্টে দিয়েছে এটা সত্যি।


    পরদিন ভােরবেলা রিকশা করে বেরিয়েছি। সময়টা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে, শীতটা কমে যাওয়ার কথা থাকলেও সেদিন বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে, রাস্তায় ঘন কুয়াশা। হঠাৎ মানিক মিয়া এভিনিউর কাছে একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার চোখে পড়লাে। শীতের সকালে এমনিতে রাস্তায় মানুষজন কম, তারপর আবার কুয়াশায় ভালােমতাে কিছুই চোখে পড়ে না। দেখি রাস্তায় বিশাল আকৃতির একটা হাতি, সম্ভবত এটা আফ্রিকান হাতি, এশিয়ান হাতির আকৃতি আরেকটু ছােট হয়, অবশ্য এত কুয়াশা ছিল ভালােমতাে বুঝতে পারছিলাম না। চার-পাঁচ হাত সামনের দৃশ্যও পরিষ্কার না। রাস্তাঘাটে হাতি থাকতেই পারে, কিন্তু সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়, হাতিটা ওর গুড় দিয়ে একটা ছেলেকে পেঁচিয়ে ধরে শূন্যে তুলে রেখেছে। ছেলেটা মনে হয় ভড়কে গিয়ে হাত-পা ছােড়াছুড়ির কথাও ভুলে গেছে।


    পাহাড়ি অঞ্চলে শুনেছি মাঝেমধ্যে বুনাে হাতি মানুষের উপর চড়াও হয়। শহুরে হাতিরা মানুষের উপর এতটা খ্যাপার কথা না যে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরবে, তাছাড়া হাতির আক্রমণ কৌশল আমার জানা আছে, এটা সেরকম মনে হচ্ছে না। হঠাৎ হাতির পাশে দাঁড়ানাে আরেকজনকে আমার চোখে পড়লাে, গায়ে জগিং স্যুট, বয়স চল্লিশের মতাে হবে- এবং অবাক হয়ে লক্ষ করলাম লােকটা অসহায় ছেলেটার নাক বরাবর একটা ঘুসি বসিয়ে দিলাে।


    আমার তখন বুঝতে একটুও সময় লাগলাে না যে হাতিটা লােকটার পােষা, তার হাতের ইশারায় ছেলেটাকে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখেছে। তারপর যেটা হলাে সেটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না, লােকটা কী এক ইশারা করতেই হাতিটা ছেলেটাকে একপাক ঘুরিয়ে ছুড়ে মারলাে মাথার উপর দিয়ে, পাশেই ছিল লেক- ছেলেটা ঝপাং করে সেই লেকের পানিতে গিয়ে পড়লাে।


    পুরাে ব্যাপারটা চোখে দেখার পর আমার কর্তব্য ছিল রিকশাওয়ালাকে তাড়া লাগানাে। যাতে সে দ্রুত চালিয়ে চলে যায় ...


    You can Dr. Kijil Prarambha PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Dr. Kijil Prarambha PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    Ami Poramanob Pdf Download | আমি পরামানব পিডিএফ ডাউনলোড

    Ami Poramanob pdf download - আমি পরামানব বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের ২০২২ এ সাইন্স ফিকশন উপন্যাস আমি পরামানব বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশনী। ২০২১ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমার ডেঞ্জারাস মামী সহ অপারেশন নীলাঞ্জনাবন বালিকাযেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বই গুলো প্রকাশ করেছে।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ আমি পরামানব

    লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

    আমি পরামানব বইটি পৃথিবীর একটা খারাপ সময়কে নিয়ে লেখা হয়েছে। যখন পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এক দুইজন মানুষের হাতে কেন্দিভূত। তারা তাদের বিশাল সম্পদ নিয়ে কী করবে সেটা জানে না। তারা মানুষের ভূমিকায় না থেকে ঈশ্বর হতে চায়। এইজন্য তারা নতুন প্রজাতির অতিমানব জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করে। একই সাথে প্রকৃতি তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি করে পরামানব। এই পরামানব কে নিয়েই আমি পরামানব সাইন্স ফিকশন টি লেখা হয়েছে।


    Ami Poramanob বইয়ের কিছু অংশ

    কয়দিন থেকে আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে । মাঝে মাঝেই এটা ঘটে, আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে । কখনো কখনো নিজেই সেই প্রশ্নের উত্তর বের করে ফেলি তবে বেশিরভাগ সময় প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই না। এবারেও প্রশ্নটা বেশ কয়েকদিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কিন্তু উত্তরটা খুঁজে পাচ্ছি না।


    প্রশ্নটা আমার কাজ নিয়ে । কমি একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করি, একেবারে খুবই সাধারণ শ্রমিকের কাজ। ভোরবেলা গিয়ে আমি আমার জায়গায় দাড়াই। আমার সামনে : একটা কনভেয়ার বেল্ট যেতে থাকে। প্রতি তিন মিনিটে সেই কনভেয়ার বেন্ট দিয়ে একটা বিদদুটে যন্ত্র এসে আমার সামনে হাজির হয়। আমার তখন বেঞ্চ দিয়ে তার একটা বোল্ট টাইট করতে হয়। তারপর যন্ত্রটা উল্টে একটা স্কু খুলতে হয়; খোলার পর একটা গর্ত বের হয়ে আসে, সেই গর্তে লাল রঙের একটা ছোট টিউব ঠেসে ঢুকাতে হয়। তারপর আবার স্ক্রটা লাগিয়ে একটা হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে দিতে হয়।


    এর জন্য আমার বরাদ্দ সময় তিন মিনিট। তিন মিনিটে যদি পুরো কাজটুকু শেষ করতে না পারি তাহলে আমার পয়েন্ট কাটা যায়। পয়েন্ট কাটা গেলে সপ্তাহ শেষে আমার ইউনিট কমে যায়। অল্প কয়টা ইউনিট দিয়ে আমি অনেক কষ্টে দিন কাটাই তাই ইউনিট কমে গেলে আমার খুব অসুবিধা হয়। প্রথম প্রথম তিন মিনিটে পুরো কাজ শেষ করতে পারতাম না, আজকাল অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে মাঝে মাঝে বিদঘুটে যন্্রটা উল্টো হয়ে আসে কিংবা বাকা হয়ে আসে বলে সেটাকে আগে সোজা করে নিতে হয় তখন আমার মূল্যবান সময় নষ্ট হয়।


    আমার প্রশ্নটা খুবই সহজ । আমি যে কাজটা করি এটা খুব সহজেই একটা যন্ত্র করে ফেলতে পারে । আজকাল যন্ত্র চিন্তা ভাবনা পর্যন্ত করতে পারে, তাদের নাকি বৃদ্ধিমত্তাও আছে। শুনেছি তাদের বুদ্ধি নাকি অনেক সময়েই মানুষ থেকে বেশি । তাহলে এই কাজটা একটা যন্ত্রকে দিয়ে না করিয়ে আমার মত একজন মানুষকে দিয়ে কেন করাচ্ছে? শুধু আমি একা না আমার মত আরো অনেক হতভাগা শ্রমিক দিনের পর দিন, রাতের পর রাত এই বুদ্ধিহীন কাজ করে যাচ্ছে। আমার ফ্যাক্টরির মালিক কেন এই কাজটা আমাদের দিয়ে করাচ্ছে? আমি প্রশ্নটা নিয়ে কয়েকদিন থেভকী-ভাবছি, তার কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না।


    আমরা যখন কাজ করি প্রতি দুই ঘণ্টা পর আমাদের দশ মিনিটের ছুটি দেওয়া হয়। আমরা সবাই এই ছুটিটার জন্য পাগলের মত অপেক্ষা করি। ক্যাফেটরিয়ায় গিয়ে আমি আমরা চা কফি না হয় জুস খাই। এগুলো  ফ্রি কোনো ইউনিট খরচ করতে হয় না তাই দরকার না থাকলেও বেশ কয়েক মগ খেয়ে ফেলি। সেখানে অন্য শ্রমিকদের সাথে তখন আমি একটু কথাবার্তা বলি। আমি এরকম একজন শ্রমিককে আমার প্রশ্নটা করেছিলাম, তাকে দেখে আমার বেশ চালাক চতুর মনে হয়েছিল। কিন্তু কথা বলে বুঝতে পারলাম মানুষটা আমার মতই বোকা । কে জানে হয়তো আমার থেকেও বোকা।


    প্রশ্নটা শুনে কিছুক্ষণ সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল, তারপর বলল, “তুমি কি চাও এখানে যন্ত্র লাগিয়ে তোমাকে বেকার বানিয়ে ফেলুক? আর তুমি কাজকর্ম ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়াও!” আমি তাকে কী প্রশ্ন করেছি আর সে তার কী উত্তর দিয়েছে! তাকে এই প্রশ্নটা করে অবশ্য আমার একটা লাভ হয়েছে, আমি বুঝতে পেরেছি মানুষের চেহারা চালাক চতুর হলেই সে চালাক চতুর হয় না। আমার চেহারায় বুদ্ধির কোনো ছাপ নেই, আমি মানুষটাও খুবই সাধারণ | লেখাপড়া করার সুযোগ পাইনি, অনাথ আশ্রমে যারা বড় হয় তারা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। আমার বাবা মায়ের সাথে কোনোদিন দেখা হবে না, দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম আমাকে যদি অনাথ আশ্রমেই দিয়ে দেবে তাহলে আমায় জন্ম দিল কেন? আমার জন্ম না হলে এই পৃথিবীর কী ক্ষতি হতো?


    আমি ক্যাফেটরিয়ায় বসে বসে ফ্রি জুস খেতে খেতে পুতুলের মত দেখতে মেয়েটাকে লক্ষ্য করি । এই মেয়েটি এখানে একেবারে বেমানান, তার আরো কোনো ভালো জায়গায় থাকার কথা । দেখে মনে হয় মেয়েটার মনে কোনো এক ধরনের দুঃখ আছে । আমি মেয়েটার সাথে এক দুইদিন ভাব করার চেষ্টা করেছি, কোনো হয়নি। এখন আমাকে দেখলে না দেখার ভান করে সরে যায় ! আমিঙ য মেয়েটাকে কোনো দোষ দেই না, কেন মেয়েটি আমার কাছে আসবে? আমি অশিক্ষিত শ্রমিক, আমার চেহারাও ভালো না, চেহারার মাঝে বুদ্ধিমত্তার ছাপ নেই । অনাথ আশ্রমে অন্য অনাথ ছেলেমেয়েদের মার খেয়ে খেয়ে অপমান সহ্য করতে করতে বড় হয়েছি। কোনোদিন আমার কোনো মেয়ে বন্ধু ছিল না, মেয়েদের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয় আমি জানি না । শুধু মেয়েদের সাথে কেন, অপরিচিত মানুষের সাথেও কথা বলতে পারি না। আমার নিজেরই অবাক লাগে, আমার জন্ময়েছে কেন আর আমি এত কষ্ট করে বেঁচে আছি কেন? মাঝে মাঝে আমি কল্পনা করি হঠাৎ কোনোদিন কোনোভাবে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ হয়ে যাব কীভাবে সেটা হবে আমি জানি না । তবু আমি কল্পনা করি, কল্পনা করতে তো কোনো দোষ নেই।


    আমি দ্বিতীয় মগ জুস খেতে খেতে শুনতে পেলাম কাজে ফিরে যাওয়ার বেল বেজেছে। আমি জুসটা গলায় ঢেলে আমার জায়গায় হাজির হলাম।


    You can Ami Poramanob pdf download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Ami Poramanob pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    Aha tuntuni Uhu Chotaccu Pdf Download | আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু পিডিএফ ডাউনলোড

    Aha tuntuni Uhu Chotaccu pdf download - আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি ধারাবাহিক কিশোর উপন্যাস। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের ২০২২ এ কিশোর উপন্যাস আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি পাবলিকেশন্স। ২০২১ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবালযেরকম টুনটুনি সেরকম ছোটাচ্চু (২০২০) সহ অপারেশন নীলাঞ্জনাবন বালিকাযেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বই গুলো প্রকাশ করেছে।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু

    লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

    আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোতে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু শিরোনামে ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করলে সেটা কিশোরদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পাঠকদের অনুরোধে লেখক নিয়মিত টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজ লিখতে থাকেন। পরবর্তিতে সেই গল্প গুলোকে বই আকারে রূপ দেওয়া হয়।

    Aha tuntuni Uhu Chotaccu বইয়ের কিছু অংশ

    ফারিহার গাড়িতে ছোটাচ্চুকে ওঠানো হয়েছে। তবে আজকে ছোটাচ্চু বসেছে পেছনের সিটে। তার চোখ একটা গামছা দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, যেন সে কোনোভাবেই দেখতে পারে। তার এক পাশে টুনি অন্য পাশে শান্ত, তারা শক্ত করে ছোটাচ্চুর হাত ধরে রেখেছে যেন ছোটাচ্চু হাত দিয়ে তার চোখের বাঁধন খুলে ফেলতে না পারে।


    গাড়ির সামনের সিটে ফারিহাপুর পাশে বসেছে ঝুমু থালা। ঝুমু খালা অনেক আপত্তি করেছে কিন্তু কেউ শুনে নাই। সবাই মিলে তাকে আবার মার্দানা ম্যাডামের মতো সাজিয়ে দিয়েছে, তার কপালে টিপ আর ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক। 


    You can Aha tuntuni Uhu Chotaccu pdf download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Aha tuntuni Uhu Chotaccu pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning