আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম - কেন্দুয়া কলেজ EIIN: 113076
  • রিসেপশন
  • + (88) 01711230814
  • ই-মেইল
  • kendua.com@gmail.com
  • অফিস: লোকেশন
  • কেন্দুয়া পৌরসভা, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা।






  • Muhammed Zafar Iqbal New Books PDF Download - মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়। তিনি সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। জাফর ইকবালের অনেক জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস রয়েছে। তিনি প্রতি বছরই নতুন বই প্রকাশ করে থাকেন। এবারের বইমেলা ২০২২ এও তিনি মোট ৪টি নতুন বই প্রকাশ করেছেন।


    দেখে নিনঃ


    মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২২ পিডিএফ ডাউনলোড


    জাফর ইকবালের নতুন বই ২০২২

    নাম্বার বইয়ের নাম ক্যাটাগরি পিডিএফ
    ০১ আমার ডেঞ্জারাস মামী কিশোর উপন্যাস ডাউনলোড
    ০২ আমি পরামানব সায়েন্স ফিকশন ডাউনলোড
    ০৩ ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ ইলেক্টনিক্স ডাউনলোড
    ০৪ আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু কিশোর উপন্যাস ডাউনলোড


    ২০২২ সালের বই মেলায় প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবালের নতুন ৪টি বই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-


    আমার ডেঞ্জারাস মামী

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি টুলুর মামীর কাহীনি নিয়ে লেখা হয়েছে। টুলু বড় হয়ে যে কাজ গুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল টুলুর নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাকটিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জেলে গিয়েছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন। সোজা কথায় এমন কোনো কাজ নেই যেটা নীরা মামী করেন নাই। আরো যে কয়েকটা বাকী ছিল এখন মনে হয় সেগুলোও করে ফেলেছেন। এই সব ঘটনা গুলো নিয়েই লেখা হয়েছে আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি।

    Download/download/button


    আমি পরামানব

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আমি পরামানব বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশনী। আমি পরামানব বইটি পৃথিবীর একটা খারাপ সময়কে নিয়ে লেখা হয়েছে। যখন পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এক দুইজন মানুষের হাতে কেন্দ্রিভুত। তারা তাদের বিশাল সম্পদ নিয়ে কী করবে সেটা জানে না। তারা মানুষের ভূমিকায় না থেকে ঈশ্বর হতে চায়। এইজন্য তারা নতুন প্রজাতির অতিমানব জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করে। একই সাথে প্রকৃতি তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি করে পরামানব। এই পরামানব কে নিয়েই আমি পরামানব সাইন্স ফিকশন টি লেখা হয়েছে।

    Download/download/button


    ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত ইলেকট্রনিকসের প্রথম পাঠ বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। আমি জানি কারো যদি শখ থাকে তাহলে কিছু একটা শিখে নেওয়া মোটেও কঠিন কিছু নয়। তাই ভাবলাম যাদের ইলেকট্রনিকস শেখার শখ আছে কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না তাদের জন্য একটা বই লিখলে কেমন হয়? সেই জন্য এই বই।

    Download/download/button


    আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু

    মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ২০২২ সালে প্রকাশিত আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি প্রকাশ করেছে তাম্রলিপি পাবলিকেশন্স। আহা টুনটুনি উহু ছোটাচ্চু বইটি টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজের একটি বই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোতে টুনটুনি ও ছোটাচ্চু শিরোনামে ডিটেকটিভ গল্প লেখা শুরু করলে সেটা কিশোরদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। পাঠকদের অনুরোধে লেখক নিয়মিত টুনটুনি ও ছোটাচ্চু সিরিজ লিখতে থাকেন। পরবর্তিতে সেই গল্প গুলোকে বই আকারে রূপ দেওয়া হয়।

    Download/download/button








    মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পিডিএফ ডাউনলোড
    Muhammed Zafar Iqbal Science Fiction

    Muhammed Zafar Iqbal Science Fiction PDF Download - মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়। তিনি সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। জাফর ইকবালের অনেক জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস রয়েছে। মুহম্মদ জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-


    জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন পিডিএফ

    নাম্বার বইয়ের নাম পিডিএফ
    ০১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রুহান রুহান ডাউনলোড
    ০২ আমি পরামানব ডাউনলোড
    ০৩ বন বালিকা ডাউনলোড
    ০৪ ইকারাস ডাউনলোড
    ০৫ মিতুল ও তার রবোট ডাউনলোড
    ০৬ ডাউনলোড
    ০৭ ত্রিনিত্রি রাশিমালা ডাউনলোড
    ০৮ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অনুরন গোলক ডাউনলোড
    ০৯ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী অন্ধকারের গ্রহ ডাউনলোড
    ১০ টুকুনজিল ডাউনলোড
    ১১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নিঃসঙ্গ গ্রহচারী ডাউনলোড
    ১২ ক্রোমিয়াম অরণ্য ডাউনলোড
    ১৩ নয় নয় শূন্য তিন ডাউনলোড
    ১৪ পৃ ডাউনলোড
    ১৫ একজন অতিমানবী ডাউনলোড
    ১৬ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মেতসিস ডাউনলোড
    ১৭ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ইরন ডাউনলোড
    ১৮ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ফোবিয়ানের যাত্রী ডাউনলোড
    ১৯ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ত্রাতুলের জগৎ ডাউনলোড
    ২০ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ফিনিক্স ডাউনলোড
    ২১ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সুহানের স্বপ্ন ডাউনলোড
    ২২ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী জলমানব ডাউনলোড
    ২৩ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নায়ীরা ডাউনলোড
    ২৪ পিশাচিনী ডাউনলোড
    ২৫ অক্টোপাসের চোখ ডাউনলোড
    ২৬ বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা ডাউনলোড
    ২৭ টুকি ও ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান ডাউনলোড
    ২৮ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কেপলার টুটুবি ডাউনলোড
    ২৯ ওমিক্রণিক রূপান্তর ডাউনলোড
    ৩০ মহাকাশে মহাত্রাস ডাউনলোড
    ৩১ কপোট্রনিক সুখ দুঃখ ডাউনলোড
    ৩২ বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার ডাউনলোড
    ৩৩ সায়রা সায়েন্টিস্ট ডাউনলোড
    ৩৪ অনুরন গোলক ডাউনলোড
    ৩৫ রবো নিশি ডাউনলোড
    ৩৬ ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম ডাউনলোড
    ৩৭ বেজি ডাউনলোড
    ৩৮ মেয়েটির নাম নারীনা ডাউনলোড
    ৩৯ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী যারা বায়োবট ডাউনলোড
    ৪০ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী জলজ ডাউনলোড
    ৪১ অবনীল ডাউনলোড
    ৪২ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী - রবোনগরী ডাউনলোড
    ৪৩ শাহনাজ ও ক্যাপ্টেন ডাবলু ডাউনলোড
    ৪৪ ক্রুগো ডাউনলোড
    ৪৫ সিস্টেম এডিফাস ডাউনলোড
    ৪৬ এনিম্যান ডাউনলোড
    ৪৭ আমড়া ও ক্র্যাব নেবুলা ডাউনলোড
    ৪৮ ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা ডাউনলোড


    এখানে জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন গুলো দেওয়া হলো। এছাড়াও মুহম্মদ জাফর ইকবালের আরো অনেকগুলো সায়েন্স ফিকশন রয়েছে। alert-info








    Grinit PDF Download | গ্রিনিট পিডিএফ ডাউনলোড - ড. যুবায়ের আহমেদ


    Grinit PDF Download - গ্রিনিট বইটি ড. যুবায়ের আহমেদ এর লেখা একটি নতুন বই। এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। ড. যুবায়ের আহমেদ সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে পরিচিত। গ্রিনিট বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে বইবাজার প্রকাশনী।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ গ্রিনিট

    লেখকঃ ড. যুবায়ের আহমেদ

    ‘সার্ভার সিকিউরিটি টিম কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটেছে সব, মার্শিয়ানদের সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে তারা কিছুই করতে পারেনি, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে যার কারণে জেফ কলোনি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি’, এক নাগাড়ে বলে থামল উইলিয়াম।

    ঝট করে ম্যাক্সের দিকে তাকাল নিও, ম্যাক্সও তাকিয়ে আছে নিওর দিকে। চোখে চোখে যেন কথা হয়ে গেল দুজনের।

    ওদের এভাবে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অবাক হল উইলিয়াম, ‘তোমরা কিছু জানো নাকি?’  

    ‘কিছু জানি বললে ভুল হবে’, উইলিয়ামের দিকে ফিরল ম্যাক্স’, কিন্তু ‘কিছু একটা হয়েছে’ এর উত্তর হয়ত দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে পারব’।  

    উইলিয়ামের চোখে বিষ্ময় আর কৌতুহল, ‘খুলে বল তো বিষয়টা?’


    Grinit বইয়ের কিছু অংশ

    ঘুমটা ভাংতেই ঘড়িতে চোখ পড়ল, আটটা প্রায় ছুঁই ছুঁই। মাথা নষ্ট হয়ে গেল ম্যাক্সের, লেইট।


    পড়িমরি করে উঠে দ্রত রেডি হয়ে নিল, ফ্রিজ খুলে বের করে নিল একটা ঠান্ডা বার্গারের প্যাকেট। বসে খাওয়ার সময় নেই, যেতে যেতে খেতে হবে।


    ব্যাগটা পিঠে চাপিয়ে রোভার বোর্ডটা হাতে নিয়ে বের হয়ে আসল রাস্তায়। কন্ট্রোলার গ্লাভস হাতে পরে থ্রাস্টার এঞ্জিন চালু করে পায়ের নিচে দিল বাের্ডটা।


    ছুটতে শুরু করল ব্যস্ত রাস্তা ধরে। মাটি থেকে প্রায় দুই ফুট উচ্চতায় ভেসে চলছে বাের্ডটা।


    ঠাস ঠাস শব্দ হচ্ছে এঞ্জিনে, কিছুটা বিরক্তির আভা ফুটে উঠল ম্যাক্সের চেহারায়, আবার এঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।


    বার্গার হাতে নিয়ে খেতে শুরু করল চলতে চলতেই বাইরের আলােয আসার সাথে সাথে বার্গারের প্যাকেটে ভেসে উঠল বিজ্ঞাপন। খাবারের প্যাকেটগুলােও ফোল্ডেবল প্লাস্টিক স্ক্রিন দিয়ে বানায় কোম্পানিগুলাে।


    একজন শেফ বার্গার বানাচ্ছে, কিন্তু প্যাকেটটা অনেকটাই দুমড়ে-মুচড়ে আছে দেখে ভিডিও বিজ্ঞাপনটা ভালােভাবে বােঝা যাচ্ছে না, বােঝার ইচ্ছাও নেই ম্যাক্সের। আশপাশের পথচারীরা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। সেটা নিয়ে বিচলিত না সে, সয়ে গেছে পথচারীদের অদ্ভুত দৃষ্টি।


    ওর স্কেট বাের্ডটা বাজারের আন্ট্রা স্লিম হােভার স্কেট বাের্ডের মতাে দেখতে না, অনেকটা ঢাউস সাইজের জঞ্জালের মতাে। এটাই পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের মূল কারণ।


    সামনে একটু জ্যামের মতাে দেখতে পেল ম্যাক্স, বাের্ডে একটু বাম্পিং করে লাফিয়ে উঠে পড়ল ফুটপাথে, ছুটতে শুরু করল পথচারীদের পাশ কাটিয়ে।


    এরেনা রােডের শেষ মাথায় ট্রাফিক সিগনালের কাছাকাছি আসতেই হাতের কন্ট্রোলিং গ্লাভসের পাওয়ার বাটন চেপে এঞ্জিন অফ করে দিল, বাের্ড থেকে নেমে বাের্ডটা কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটা শুরু করল ফুটপাথের ওপর দিয়ে।


    হােভার বাের্ডে লাইসেন্স ডট কোড থাকা লাগে, ম্যাক্সের বাের্ডে সেটা নেই। প্রতিটা এঞ্জিন চালিত বাহনেই এই রেজিস্ট্রি কোড থাকা লাগে। তাই সিগনাল পােস্টের কোড রিডিং এরিয়াটা ওকে পেরােতে হবে পথচারীর মতাে।


    অযথা পুলিশি ঝামেলায় পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ট্রাফিক ক্যামেরা তার কাঁধে ঝােলানা জঞ্জালটা বস্তুত কি সেটা না বুঝে ফেললেই হয়। সিগনালের ডট কোড রিডিং এরিয়া পেরিয়েই আবার বাের্ডে চড়ে ছুটতে শুরু করল ম্যাক্স।


    তার হােভার বাের্ড জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড না।


    গ্লোবাল ট্রাফিক কমিউনিকেশন সিস্টেমে (জিটিসিএস) এন্ট্রি না থাকলে অবশ্য অ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ, প্রতিটা যানবাহনের অনবাের্ড কম্পিউটার পারস্পরিক কমিউনিকেশন রাখে কোনটা কখন কোথায় পার্কিং করবে বা কোন বাহন কোন বাঁকে টার্ন নেবে।


    সবগুলাে বাহনের গন্তব্যের রাউটিং এবং টাইমিং প্রিম্যাপিং জিটিসিএস এ রেজিস্ট্রি হয়ে যায় যাত্রার শুরুতেই। সাথে রিয়েল টাইম রেজিস্ট্রি চলতে থাকে, যাতে প্রতিটা বাহনের অনববার্ড কম্পিউটার পিকোসেকেন্ডের মধ্যেই তার আশপাশের এক কিলাের মধ্যে যত গাড়ি আছে তার গতিপথ আর সিদ্ধান্ত জেনে নিতে পারে এবং আসন্ন দুর্ঘটনা এড়াতে পারে।


    ম্যাক্সের বাের্ড যেহতু সিস্টেমকে কোনাে তথ্যই দিচ্ছে না, তাই তার যাত্রা পথের কোনাে তথ্য আশপাশের বাহনগুলাে পাচ্ছে না। এই কারণেই এঞ্জিনের ডট কোড স্ক্যান করে চেক করা হয় সেই বাহন জিটিসিএস এ রেজিস্টার্ড কিনা ...


    You can Grinit PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Grinit PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    Amar Dangerous Mami pdf download । আমার ডেঞ্জারাস মামী pdf download


    Amar Dangerous Mami pdf download - আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর নতুন বই। এটি একটি কিশোর উপন্যাস। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সাইন্স ফিকশন লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি অনেক কিশোর উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। এবারের ২০২১ এ কিশোর উপন্যাস আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। ২০২১ সালে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমার ডেঞ্জারাস মামী সহ অপারেশন নীলাঞ্জনা, বন বালিকা, যেটুকু টুনটুনি সেটুকু ছোটাচ্চু বই গুলো প্রকাশ করেছে।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ আমার ডেঞ্জারাস মামী

    লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

    আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি টুলুর মামীর কাহীনি নিয়ে লেখা হয়েছে। টুলু বড় হয়ে যে কাজ গুলো করবে বলে ঠিক করে রেখেছিল টুলুর নীরা মামী তার সবগুলো করেছেন। পাহাড়ে গিয়েছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন, প্লেন থেকে লাফ দিয়েছেন, কারাতে শিখেছেন, সিনেমায় অ্যাকটিং করেছেন, আন্দোলন করেছেন, জেলে গিয়েছেন, পুলিশের মার খেয়েছেন। সোজা কথায় এমন কোনো কাজ নেই যেটা নীরা মামী করেন নাই। আরো যে কয়েকটা বাকী ছিল এখন মনে হয় সেগুলোও করে ফেলেছেন। এই সব ঘটনা গুলো নিয়েই লেখা হয়েছে আমার ডেঞ্জারাস মামী বইটি।


    Amar Dangerous Mami বইয়ের কিছু অংশ

    বিভীষিকা

    হ্যা, এক শব্দে যদি কেউ আমার জীবনটাকে ব্যাখ্যা করতে চায় তাহলে সেই শব্দটা হবে বিভীষিকা । কেউ যেন মনে না করে আমার চারপাশে যারা আছে তারা বুঝি সবাই মিলে আমার জীবনটাকে বিভীষিকাময় করে রেখেছে, মোটেও সেরকম কিছু নয়। বরং উলটোটাই সত্যি আমার বাসার সবাই, স্কুলের বন্ধু-বান্ধব (এক দুজন রাক্ষসী টাইপ স্যার ম্যাডাম ছাড়া), অন্য সব স্যার ম্যাডাম সবাই খুবই ভালো সত্যি কথা বলতে কী, আমিই একটু পাজী টাইপের, ইচ্ছা না থাকলেও কীভাবে জানি একটার পর একটা ঝামেলা পাকিয়ে ফেলি। কিন্ত তারপরেও আমার নিজের কাছে মনে হয় আমার জীবনটা একটা মূর্তিমান বিভীষিকা।


    আমাদের বাসায় আছেন আব্বু, আম্মু, বড় বোন মিলা, আমি টুলু আর ছোটো ভাই পিলু। আব্বুকে দিয়ে শুরু করা যাক। আব্বু হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভুলোভালা মানুষ। এরকম একজন মানুষ কেমন করে কলেজে প্রফেসর হতে পারেন আমি সেটা চিন্তা করেও পাই না। আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় আব্বু নিশ্চয়ই মাঝেমধ্যে ভুলভাল কলেজে গিয়ে ভুলভাল ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে চলে আসেন। পড়ানও নিশ্চয়ই ভুলভাল জিনিস কিন্তু আজকালকার ছাত্রছাত্রীরা সেটা মনে হয় বুঝতেও পারে না। আব্বুর কাজকর্ম দেখে আম্মু মাঝে মাঝেই মাথা নেড়ে বলেন, “আমার সাথে বিয়ে না হলে তোমার যে কী হতো!”


    কথাটা মনে হয় সত্যি, তাই আব্বু কেমন যেন বাচ্চা মানুষের মতো মাথা নেড়ে হাসেন, তারপরে বলেন, “ঠিকই বলেছ। তুমি আমাকে বিয়ে করেছিলে বলেই টিকে আছি।”


    আম্মু বলেন, “আমি তোমাকে বিয়ে না করলে অবশ্য তোমার কোনোদিন বিয়েই হতো না। কোন মেয়ের মাথা খারাপ হয়েছে যে তোমাকে বিয়ে করবে?”


    “আব্বু কোনো কথা না বলে আবার মাথা নাড়েন আর হাসেন। আমার সন্দেহ হয় যে আম্মু কী বলেছেন আব্বু এর মাঝে সেটাও নিশ্চয়ই ভুলে গেছেন। যাই হোক, এখন কথা হচ্ছে এরকম ভুলোভালা একজন মানুষ আমার জীবনে বিভীষিকা হয় কেমন করে?


    সেটার অনেক কারণ আছে একটা হচ্ছে আমার স্কুল। আমার নতুন স্কুলটা একটা ঢংয়ের স্কুল, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়েই তাদের শাস্তি নাই, ঢং করার জন্য তাদের মাঝে মাঝেই ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়েদের সাথে কথা বলতে হয়। যারা নেকু নেকু টাইপের আঠা আঠা ভালো স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েরা কত ভালো করছে তখন তারা মহাখুশী হয়ে ফিরে আসেন। ঝামেলাটা হয় আমার মতো দুই চারজনের-যাদের লেখাপড়ার কোনো ইচ্ছা নাই, ক্লাসের ছেলেমেয়েদের সাথেও যারা মাঝেমধ্যে একটু মারামারি করে, যাদের ক্রিকেট বল. জানালার কাচ ভেঙে যায়, যারা লাইব্রেরির বই হারিয়ে ফেলে এক্রকম্‌ ছেলেমেয়েদের। আমি চেষ্টা করি আব্বুকে নিয়ে যেতে, আম্মু যদি সব অপকর্মের কথা জেনে যায় তাহলে পরে বিপদ হতে পারে ।


    শেষবার যখন আব্বুকে নিয়ে গেছি তখন জিনিয়া ম্যাডাম কাগজপত্র দেখে আব্বুকে বললেন, “আপনার ছেলের মনে হয় ডিসিপ্লিন নিয়ে একটু সমস্যা আছে।”


    আব্বুর কথাটা বুঝতে একটু সময় লাগল, তারপর বুঝলেন ভুলভাবে । আব্বু হা হা করে হাসার চেষ্টা করে বললেন, “কার নাই? ইংরেজি ল্যাংগুয়েজটাই একটা সমস্যা। ডিসিপ্লিন শব্দটার মাঝে এস এর পর বাড়তি একটা সি দেওয়ার দরকার কী? মাঝে মাঝে আমারই প্যাচ লেগে যায়। তারপর ধরেন নিমোনিয়া শব্দটা”


    জিনিয়া ম্যাডাম মুখ শক্ত করে বললেন, “না, আমি বানান নিয়ে কথা বলছি না। আমি বলছি ডিসিপ্রিন ব্যাপারটা নিয়ে । আমার কাছে বিশাল লিস্ট”


    আব্বু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন । মনে হয় বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তার ছেলের ডিসিপ্রিন নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে।


    জিনিয়া ম্যাডাম মুখটাকে রাক্ষুসীর মতো করে বললেন, “মনে হয় লেখাপড়াতেও মন নেই। সব সাবজেক্টে টেনেটুনে পাশ । গণিতের অবস্থা ভয়াবহ।”


    আমি না শোনার ভান করে গভীর মনোযোগ দিয়ে আমার বাম হাতের কেনে আঙুলটা পরীক্ষা করতে লাগলাম । শুনলাম রাক্ষুসী ম্যাডাম বলছেন, “এই যে গণিত পরীক্ষার খাতাটা এখানে আছে। প্রশ্ন করা আছে যতজন শ্রমিক তত টাকা মজুরি হিসেবে এত টাকা দেওয়া হয়েছে, শ্রমিকদের মজুরি কত। আপনার ছেলে কী লিখেছে জানেন?"


    আমি শুনলাম আবু দুর্বল গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “কী লিখেছে?”


    সে লিখেছে, “শ্রমিকদের যথেষ্ট মজুরি দেওয়া হয় নাই। এটি অন্যায় এবং অমানবিক। এটি একধরনের শোষণ ।” রাক্ষুসী ম্যাডাম একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “শোষণ বানানটা ভুল ।"


    আমি চোখের কোনা দিয়ে আব্বুর মুখের দিকে তাকালাম, দেখলাম তার ঠোটের কোনায় এক চিলতে হাসি। আব্বু মনে হলো অনেক কষ্ট করে তার হাসিটা গোপন করে জিজ্ঞেস করলেন, “এই উত্তর লিখে সে কত পেয়েছে?”


    রাক্ষুসী ম্যাডাম আবার একটা ফেলে বলেন, “মাইনাস টেন।”


    আব্বু বললেন, “ভুল তো শূন্য দিলেই হতো ।”


    আমি মাথা নেড়ে আব্বুর করব কিনা বুঝতে পারলাম না, শেষ পর্যন্ত না শোনার ভান করে পরের আঙুলটা পরীক্ষা করতে লাগলাম । যখন বাসায় আসছি তখন আব্বুকে জিজ্ঞেস করলাম, “আব্বু তুমি কি আমার ওপর রাগ হয়েছ?”


    “রাগ? কেন?” মনে হলো আব্বু এর মাঝে সবকিছু ভুলে গেছেন।


    আমি বললাম, “এই যে পরীক্ষায় কম নম্বর পাচ্ছি। স্যার ম্যাডামরা রাগ । আমার ডিসিপ্লিন নিয়ে সমস্যা।”


    আব্বু বললেন, “ও আচ্ছা! সেই ব্যাপার? বুঝতে পারছি না রাগ হব নাকি অবাক হব। কীদব না হাসব।” দরকার নাই খুশী হওয়ারও দরকার নাই, হাসারও দরকার নাই কাঁদারও দরকার নাই।”


    “তাহলে?” ........




    Download/download/button
    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.

    নোটঃ কপিরাইটের কারণে Amar Dangerous Mami pdf ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning







    Dr. Kijil Prarambha PDF Download | ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ পিডিএফ ডাউনলোড


    Dr. Kijil Prarambha PDF Download -  ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ বইটি তরুণ লেখক মাশুদুল হক এর লেখা একটি নতুন বই।  এটি একটি সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। মাশুদুল হক পেশায় লেখক ও চিকিৎসক। তিনি থ্রিলার, ফ্যান্টাসি ও সায়েন্স-ফিকশন গল্প উপন্যাস ও শিশু-কিশোর সাহিত্য নিয়ে কাজ করছেন। ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে। বইটি প্রকাশ করেছে আফসার ব্রাদার্স।


    দেখে নিনঃ


    বইয়ের নামঃ ডক্টর কিজিল প্রারম্ভ

    লেখকঃ মাশুদুল হক

    সদ্য জুওলজিতে মাস্টার্স শেষ করা হাসান ঘটনাক্রমে পরিচিত হয় প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর কিবরিয়া জিল্লুর লস্কর ওরফে কিজিলের সাথে। কিজিল মানুষ হিসেবে অদ্ভূত ও খাপছাড়া, বিপজ্জনকও। তার রিসার্চ অ্যাসিটেন্ট হিসেবে যোগ দিয়ে হাসানের শুরু হয় আনকোরা ভিন্ন এক জীবন । সবার চোখের আড়ালে কি ভীষণ সব কাজ করে বেড়াচ্ছে লোকটা সেটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দুরুহ। ডক্টর কিজিল ও তার সহকারীর সেসব বিচিত্র অভিযানে আপনাকে আমন্ত্রণ।


    Dr. Kijil Prarambha বইয়ের কিছু অংশ

    ডক্টর কিজিলের সাথে আমার পরিচয় পর্বটা বেশ  অস্বস্তিকর ছিল। তাই নিতান্ত আপনজন না হলে এই গল্প আমি কারো সাথে করতে চাই না। কিন্ত কিজিল কে নিয়ে লিখতে বসেছি যখন তখন সেটা আর না করে উপায় কী!

    তার আগে বলে নেই, এই লেখাটা কেন লিখছি নিজেও জানি না। হতে পারে মানুষ তার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে- সেকারণেই। লেখাটা ডায়রির মতো করে লিখতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু ঘটনাগুলাে লিখে রাখবাে সে চিন্তাটা মাথায় অনেকদিন পর আসে, তাই গল্পের মতাে করেই লিখছি।

     

    ড. কিজিলের সাথে পরিচয়ের আগ পর্যন্ত তাকে আমার জানা ছিল না, এমন জ্বলজ্যান্ত এক অদ্ভুতুড়ে মানুষ আমাদের মাঝে ঘাপটি মেরে ছিল সেটা কে ভাবতে পেরেছিল!


    গুটিকয়েক লােক যারা তাকে নামে জানে তারাও তাকে চিনতাে ভিন্ন পরিচয়ে, তিনি একজন শখের দাবারু- গ্রান্ডমাস্টার খেতাবটাও তার আছে। অবশ্য এখন আর কোনাে প্রতিযােগিতায় আসেন না, উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তার বিশাল সম্পত্তি আর পারিবারিক ব্যাবসা দেখাশােনা করেন- অধিকাংশ মানুষের জানার সীমা এতটুকুই তার সম্পর্কে।


    লােকে যেটা জানতাে না সেটা হলাে তিনি একাধারে বেশ বড়মাপের জিন প্রকৌশলী, ম্যাথমেটিশিয়ান, পদার্থবিদ আর বায়ােকেমিস্ট- তার বাকি পরিচয়গুলাে তিনি কোনাে এক কারণে সুকৌশলে গােপন করে রেখেছেন।


    তাকে রীতিমতাে প্রডিজি বলা চলে, যৌবনের পুরােটা সময় ব্যয় করেছেন হাফ ডজন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দেশে-বিদেশে ঘুরে, তার বাপ মারা যাওয়ার পর পরিবারের বাকিদের অনুরােধে তিনি স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন, তবে পরবর্তীতে তাদের সাথে ঝামেলা হওয়ায় পারিবারিক সম্পত্তির নিজেরটুকু বুঝে নিয়ে আলাদাভাবে একটা কোম্পানি খুলে ব্যবসা শুরু করেন।


    বিয়ে করেছিলেন। তবে কোনাে এক কারণে খুব দ্রুতই তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাই আত্মীয়স্বজন কেউই তাঁর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। নিজের কিছু প্রজেক্ট নিয়ে নিভৃতে থাকতে ভালােবাসেন, কেউ ঘটানােরও সাহস পায় না।

     

    বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যখন জুওলজিতে মাস্টার্স কমপ্লিট করি তখন আমার এক কোর্স টিচারের মুখে প্রথম তার নাম শুনি, বায়ােটেকনলজিতে কিজিলের অবদানস্বরূপ একটা জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনােনীত করা হয়।


    কিন্তু কোনাে এক কারণে তিনি সেটা প্রত্যাখ্যান করেন, তাঁর অবদান ছিল মাত্র দু'সপ্তাহে ফলবে এমন একটা ফসলের জেনােম তিনি বের করেন। যদিও প্রজেক্টার কথা পরে আর কখনাে শুনিনি।


    তবে এসব ছাড়াও তাঁকে যে বিস্তর চেনার রয়েছে সেটা তাঁর সাথে পরিচয় না হলে আমার বা আপনারা যারা আমার লেখাটা পড়ছেন- কারােরই হয়তাে জানা হতাে না। (Dr. Kijil Praromvo PDF Download)


    তাহলে এবার সেদিনের ঘটনায় আসা যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আমি যখন মােটামুটি প্রস্তুত কর্মময় জীবনের জন্য ঠিক এমন সময়ই আবার সেই কিজিলের নামটা চোখে পড়লাে নামটার মধ্যে কী একটা ব্যাপার ছিল বলে আমি ভুলতে পারিনি, পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে গেল। রিসার্চ অ্যাসিটেন্ট, কন্ট্রাকচুয়াল, জুওলজিতে স্নাতক প্রার্থী, জরুরি। আগামীকাল সকাল ৮ টায় ইন্টারভিউ, ঠিকানা আর নীচে বিজ্ঞাপন- দাতার নাম ‘ড. কিজিল'। আমি চট করে মনস্থির করে ফেললাম, ইন্টারভিউটা আমি দেব।


    সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল না ঠিক ছিল এখনাে জানি না, তবে সেটা আমার জীবনটা পাল্টে দিয়েছে এটা সত্যি।


    পরদিন ভােরবেলা রিকশা করে বেরিয়েছি। সময়টা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে, শীতটা কমে যাওয়ার কথা থাকলেও সেদিন বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে, রাস্তায় ঘন কুয়াশা। হঠাৎ মানিক মিয়া এভিনিউর কাছে একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার চোখে পড়লাে। শীতের সকালে এমনিতে রাস্তায় মানুষজন কম, তারপর আবার কুয়াশায় ভালােমতাে কিছুই চোখে পড়ে না। দেখি রাস্তায় বিশাল আকৃতির একটা হাতি, সম্ভবত এটা আফ্রিকান হাতি, এশিয়ান হাতির আকৃতি আরেকটু ছােট হয়, অবশ্য এত কুয়াশা ছিল ভালােমতাে বুঝতে পারছিলাম না। চার-পাঁচ হাত সামনের দৃশ্যও পরিষ্কার না। রাস্তাঘাটে হাতি থাকতেই পারে, কিন্তু সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়, হাতিটা ওর গুড় দিয়ে একটা ছেলেকে পেঁচিয়ে ধরে শূন্যে তুলে রেখেছে। ছেলেটা মনে হয় ভড়কে গিয়ে হাত-পা ছােড়াছুড়ির কথাও ভুলে গেছে।


    পাহাড়ি অঞ্চলে শুনেছি মাঝেমধ্যে বুনাে হাতি মানুষের উপর চড়াও হয়। শহুরে হাতিরা মানুষের উপর এতটা খ্যাপার কথা না যে শুড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরবে, তাছাড়া হাতির আক্রমণ কৌশল আমার জানা আছে, এটা সেরকম মনে হচ্ছে না। হঠাৎ হাতির পাশে দাঁড়ানাে আরেকজনকে আমার চোখে পড়লাে, গায়ে জগিং স্যুট, বয়স চল্লিশের মতাে হবে- এবং অবাক হয়ে লক্ষ করলাম লােকটা অসহায় ছেলেটার নাক বরাবর একটা ঘুসি বসিয়ে দিলাে।


    আমার তখন বুঝতে একটুও সময় লাগলাে না যে হাতিটা লােকটার পােষা, তার হাতের ইশারায় ছেলেটাকে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখেছে। তারপর যেটা হলাে সেটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না, লােকটা কী এক ইশারা করতেই হাতিটা ছেলেটাকে একপাক ঘুরিয়ে ছুড়ে মারলাে মাথার উপর দিয়ে, পাশেই ছিল লেক- ছেলেটা ঝপাং করে সেই লেকের পানিতে গিয়ে পড়লাে।


    পুরাে ব্যাপারটা চোখে দেখার পর আমার কর্তব্য ছিল রিকশাওয়ালাকে তাড়া লাগানাে। যাতে সে দ্রুত চালিয়ে চলে যায় ...


    You can Dr. Kijil Prarambha PDF download here.

    কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন...
    সরাসরি লিংক click here.


    নোটঃ কপিরাইটের কারণে বইটি Dr. Kijil Prarambha PDF ডাউনলোড নাও হতে পারে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। alert-warning








    BitTorrent হলো একটি ইন্টারনেট প্রটোকল, যার মাধ্যমে বড় আকারের ফাইল পিয়ার টু পিয়ার দ্রুত ও খুব সহজে শেয়ার করা যায়। BitTorrent তৈরি করেছিল ব্রাম কোহেল। ব্রাম কোহেল বাফেলো ইউনিভার্সি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছে।


    BitTorrent কী? Bitorrent কিভাবে কাজ করে?


    Bitorrent কিভাবে কাজ করে?

    আমরা যখন ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করি সেই ফাইলটা নির্দিষ্ট যে সার্ভারে সংরক্ষিত সেখান থেকে আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়। তাই এখানে অনেক সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যেমন বড় কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে ধীরগতি বা ডাউনলোডের মাঝখানে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন জনিত সমস্যা হলে ফাইলটি পুনরায় প্রথম থেকে ডাউনলোড করতে হয়, এরকম আরো অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে।


    এই সমস্যা গুলোকেই সমাধান করার উদ্দেশ্যে টরেন্টের সৃষ্টি। টরেন্টের মাধ্যমে যে ফাইল গুলো ডাউনলোড করা হয় সেগুলো নির্দিষ্ট কোন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে না৷ এই ফাইলগুলো মুলত সকল টরেন্ট ব্যবহারকারীদের ডিভাইস থেকে সরাসরি আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়, যারা ওই একই ফাইল গুলো তাদের ডিভাইসে আগে থেকেই ডাউনলোড করে রেখেছে।


    এর মানে হচ্ছে আমরা যখন কোন ফাইল টরেন্ট ব্যবহার করে ডাউনলোড করি, তখন অন্য কোন ব্যবহারকারী যখন সেই একই ফাইল ডাউনলোড করবে তখন সে আমাদের ডিভাইস থেকেও সেই ফাইলের কিছু অংশ ডাউনলোড করবে। ডাউনলোডকারী একটি ফাইল একই সাথে অনেকগুলো ডিভাইস থেকে ডাউনলোড করছে ফলে সে ফাইলটি খুব দ্রুত গতিতে ডাউনলোড করতে পারবে। যেকারণে এখানে তেমন কোন সীমাবদ্ধতাও তৈরি হচ্ছেনা। মূলত টরেন্ট তৈরিই করা হয়েছে বড় ফাইল ঝামেলাহীন ভাবে শেয়ার করার জন্য।


    যেহেতু BitTorrent ব্যবহার করে আমরা বড় একটি ফাইল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডাউনলোড করি তাই ডাউনলোডের মাঝ পথে ইন্টারনেট জনিত সমস্যা বা কোন কারনে যদি ডিভাইস বন্ধ করে রাখতে হয় তবুও কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়না। কারণ যতটুকু ফাইল আমাদের ডিভাইসে ডাউনলোড হয়েছে পরবর্তীতে সেই ফাইলের বাকি অংশ টুকুই আবার BitTorrent ডাউনলোড করবে। এভাবে আমরা পুরো ফাইলটি পেয়ে যাচ্ছি।


    BitTorrent থেকে কোন ফাইল ডাউনলোডের সময় এখানে সব সময় ২ টা পক্ষ তৈরি হয়। যে ডাউনলোড করছে তাকে প্রথম পক্ষ বলে। আর যার কাছে থেকে ডাউনলোড হচ্ছে বা আপলোড হচ্ছে সে হচ্ছে দ্বিতীয় পক্ষ। প্রথম পক্ষকে বলা হয় লিচার (LEECHER) এবং দ্বিতীয় পক্ষকে বলা হয় সিডার (SEEDER). এখান থেকে একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে যে, টরেন্ট হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেম সিডারস এবং লিচারসদের কে পরিচয় করিয়ে দেয়, এবং পরিচয়ের মাধ্যমে ফাইলগুলো নিজেরদের মধ্যে আদানপ্রদান করে। যেই ফাইল গুলোর সিডার বেশি থাকবে সেই ফাইল গুলো তত বেশি স্পিডে ডাউনলোড করা যাবে। মানে হচ্ছে কোন ব্যবহারকারী যখন কোন ফাইলের লোকেশন যুক্ত ইনফরমেশন টরেন্টকে দেয় তখন সেই ফাইলটি কেউ ডাউনলোড করলে ধীরগতিতে সেটি ডাউনলোড হবে কারণ ফাইলটি মাত্র একজন সিড করছে বা সেই ফাইলের একজন মাত্র সিডার রয়েছে, তবে সেই ব্যক্তি ডাউনলোড হয়ে গেলে তখন ২ জন সিডার হবে এভাবে যখন অনেক ব্যবহারকারী সেই একই ফাইল ডাউনলোড করে ফেলবে তখন সিডারের সংখ্যা আরো বেশি হয়ে যাবে, আর তখন সেই ফাইলটি কেউ ডাউনলোড করতে গেলে তার ডাউনলোড স্পিড অনেক বেশি হবে, কারণ তখন ফাইলটি ভাগ ভাগ হয়ে সব গুলো সিডারের থেকে একই সাথে ডাউনলোড হবে। এভাবে ভাগ ভাগ করে ফাইল গুলোকে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে ডাউনলোড করার কারণেই এর নাম দেওয়া হয়েছে BitTorrent. 


    BitTorrent এ আরো একটি বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে সিডার এবং লিচারদের মধ্যে অনুপাত। কোন ফাইলের লিচার (যে ডাউনলোড করছে) অপেক্ষা যদি সিডার (যার কাছ থেকে ডাউনলোড হচ্ছে বা আপলোড হচ্ছে) বেশি থাকে তাহলে সে ফাইলটি অনেক বেশি স্পীডে ডাউনলোড করা যাবে। আর যে ফাইলের সিডার অপেক্ষা লিচার বেশি হবে সে ফাইলের স্পীড কম পাওয়া যাবে, কারন সেই ফাইল অনেক বেশি ব্যবহারকারী মিলে কম সংখ্যক ব্যবহারকারীদের থেকে ডাউনলোড করছে। তাই BitTorrent এ কোন ফাইল ডাউনলোড দেওয়ার পূর্বে সিডার এবং লিচারের মধ্যে অনুপাত দেখে নিতে হবে।








    সাবমেরিন (Submarine) ইংরেজি শব্দ৷ সাব শব্দের অর্থ নিচে, এবং মেরিন অর্থ সমুদ্র বা সাগর। সমুদ্রের নিচ দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে সারা পৃথিবী জুড়ে ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে সাবমেরিন ক্যাবল বলা হয়।


    যেহেতু এই ক্যাবল গুলো সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেকারনেই এর নাম দেয়া হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল। একদল দক্ষ ডুবুরির সাহায্যে সমুদ্রের তলদেশে এই ক্যাবল গুলো রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় বিশাল আকারের জাহাজ।



    সাবমেরিন ক্যাবলের ইতিহাস

    মহাকাশের স্যাটেলাইট দিয়ে টেলিযোগাযোগ বা ইন্টারনেট এর বিকল্প হিসেবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে, কিংবা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত, দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং সাশ্রয়ী করার লক্ষে সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা শুরু হয়।


    ১৮৫০ সালে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড এর মধ্যে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছিল। প্রথম যাত্রায় এটি পুরোপুরি ভাবে সফল না হলেও ১৯৫৩ সালের দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় এটি সফল হয়৷ বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবল এ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হলেও প্রথম দিকে কপারের তার ব্যবহার করা হতো।


    সাবমেরিন ক্যাবলের গাঠনিক উপাদান

    সাবমেরিন ক্যাবল যেহেতু সমুদ্রের অনেক গভীর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাই এটা অনেকটা শক্ত, অধিক চাপ সহনশীল এবং ওয়াটার প্রুফ হতে হয়।তাই এর উপরে বিশেষ ধরনের রাবার (পলিএথোলিন), কপার, এলুমিনিয়াম, ইত্যাদির কয়েক স্তরের আবরণ থাকে।


    সাবমেরিন ক্যাবল কীভাবে কাজ করে?

    সাবমেরিন ক্যাবল মূলত তিনটি ধাপে কাজ করে থাকে। যথা-

    • টিয়ার-১
    • টিয়ার-২
    • টিয়ার-৩

    টিয়ার-১ হচ্ছে সেই সকল কোম্পানির সাবমেরিন ক্যাবল, যারা সমুদ্র তলদেশে তাদের নিজস্ব খরচে এটা মেইনটেইন করে। এবং তারা লোকাল কোনো দেশের কোম্পানির কাছে ইন্টারনেট বিক্রি করে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এরকম টিয়ার-১ কোম্পানি। লোকাল সিম কার্ড কোম্পানি অথবা বিভিন্ন বড় বড় ইন্টারনেট পাবলিশার হচ্ছে টিয়ার-২। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে টিয়ার-৩।


    বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে৷ এ সাবমেরিন ক্যাবলগুলো হচ্ছে SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5. এগুলোর ল্যান্ডিং স্টেশন একটি কক্সবাজার এবং অপরটি কুয়াকাটায় অবস্থিত।








    আপাতবিরোধী বা স্ববিরোধী কোন ঘটনাকে প্যারাডক্স বলে। প্যারাডক্স শব্দের আভিধানিক অর্থ কূট, সম্ভাব্যতা-বিরোধী ব্যক্তি বা বস্তু। প্যারাডক্স এমন কোনো বাক্য, উক্তি বা ঘটনা যা থেকে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। কোন বাক্য বা উক্তির ক্ষেত্রে হয় সেটি সত্য হবে না হয় মিথ্যা হবে। কিন্তু প্যারাডক্স এর ক্ষেত্রে এটি সত্য বা মিথ্যা কোনোটাই হয় না।

    প্যারাডক্স কী? কয়েকটি বিখ্যাত প্যারাডক্সের উদাহরণ


    ধারণা করা হয় প্যারাডক্সের সূচনা ঘটেছে চীনে। একসময় চীনে এক লোক ঢাল ও বল্লম বিক্রি করতো। একবার সেই বল্লম বিক্রেতা দাবি করলো আমার কাছে এমন এক ঢাল আছে যা, যেকোনো কিছুকে প্রতিরোধ করতে পারে। আবার সে দাবি করলো আমার কাছে এমন এক বল্লম আছে যা, যেকোনো কিছুকে ভেদ করতে পারবে। বিক্রেতার এই কথা শুনে এক চতুর ক্রেতা বলল, "আমি যদি এই বল্লম দিয়ে এই ঢালে আঘাত করি তাহলে কী হবে?" মুলত এই ঘটনা থেকেই প্যারাডক্স বা স্ববিরোধী ঘটনার উৎপত্তি। ইতিহাসে এমন অনেক বিখ্যাত প্যারাডক্স রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু প্যারাডক্স এতই জটিল যে আমাদের মাথা ঘুরিয়ে দিবে। এরকম কিছু প্যারাডক্স এখানে দেওয়া হলো-


    সরাইটিস প্যারাডক্স

    মনেকরি একটি পাত্রে একটি চালের দানা আছে। আমরা এটাকে চালের স্তুপ বলবো না কেননা এখানে কেবলমাত্র একটি চালের দানা-ই রয়েছে। এখন আমরা যদি এর সাথে আরো একটা চালের দানা যোগ করি তবুও এটাকে চালের স্তুপ বলা যাবে না। কারণ মাত্র একটা দানার পার্থক্য ধর্তব্যের মধ্যে নয়। তাহলে যদি n সংখ্যক চালের দানাকে একত্র করলে যদি সেটা চালের স্তুপ না হয় তাহলে এর সাথে একটা চালের দানা যোগ করে n+1 করা হলে সেটাও চালের স্তুপ হবে না। আবার, যদি n সংখ্যক চালের দানা বিশিষ্ট একটি চালের স্তুপ থেকে একটি চালের দানা সরিয়ে n-1 করা হলে সেটি চালের স্তুপই থাকবে। এরকম করে একটা একটা করে চালের দানা কমাতে কমাতে শেষে যদি একটা চালের দানা থাকে তাহলে সেটাও চালের স্তুপই হবে।


    আগন্তুক ও নগররক্ষী প্যারাডক্স

    আগন্তুক ও নগররক্ষী প্যারাডক্স টা এরকম- এক শহরে এক দাড় রক্ষী আছে। কেউ শহরে প্রবেশ করতে গেলে সে তাকে একটা প্রশ্ন করে, "আপনি এই শহরে কেন এসেছেন?" যদি তার উত্তর সত্য হয় তাহলে তাকে ফাঁসি না দিয়ে শহরে  ঢুকতে দেওয়া হয়। অন্যথায় তাকে ফাসি দেওয়া হয়। একবার একজন লোক শহরে প্রবেশ করতে চাইলে নগররক্ষী তাকে জিজ্ঞেস করলো সে কী কারণে শহরে এসেছে। সে উত্তর দিলো, "আমি ফাসিতে ঝুলতে এসেছি।" এই উত্তর শুনে নগরক্ষীর কী করা উচিত। আগন্তুককে কি ফাঁসি দেওয়া হবে? নাকি না? যদি তাকে ফাঁসি দেওয়া তাহলে তাহলে লোকটির কথা সত্য হয়ে যাবে। আর যদি ফাঁসি না দেওয়া হয় তাহলে লোকটির কথা মিথ্যা হয়ে যাবে। আর নিয়মানুযায়ী মিথ্যা উত্তরদাতাকে ফাঁসি দেওয়া হবে।


    গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স

    গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্সটি টাইম ট্রাভেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ যদি সম্ভব হয়, তাহলে এক জটিলতার সৃষ্টি হবে যাকে নিয়েই এই গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স তৈরি হয়েছে।

    কেউ যদি টাইম মেশিনে করে অতীতে গিয়ে তার দাদার ছোটবেলা তার বাবার জন্ম হওয়ার আগেই তার দাদাকে হত্যা করে তাহলে তার পিতার জন্ম হবে না। তার পিতার জন্ম না হলে সেও জন্মগ্রহণ করবে না। কিংবা সে যদি জন্মগ্রহণ না-ই করে তাহলে অতীতে গিয়ে তার দাদাকে কে হত্যা করলো।


    ডিকোটোমি প্যারাডক্স

    ডিকোটামি প্যারাডক্স এর উদ্ভাবক দার্শনিক জেনো। ধরা যাক, কোনো ব্যক্তি একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর তিনি পথের অর্ধেক (১/২) অংশ অতিক্রম করলেন। তারপর পথের বাঁকি অংশের অর্ধেক অর্থাৎ পুরো পথের চার ভাগের এক ভাগ (১/৪) অংশ অতিক্রম করলেন। এভাবে তিনি প্রতিবারই বাঁকি পথের অর্ধেক করে অতিক্রম করতে লাগলেন। তাহলে তিনি   যথাক্রমে পুরো পথের ১/২, ১/৪, ১/৮, ১/১৬ অংশ এভাবে যাচ্ছেন। ব্যাপারটি এমন দাড়ালো যে, তিনি কখনো সম্পূর্ণ পথ অতিক্রম করে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না!


    মিথ্যাবাদী প্যারাডক্স

    এপিমেনাইডেস নামের একজন দার্শনিকের একটি উক্তির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যাবাদী প্যারাডক্সটির উৎপত্তি ঘটেছে। তিনি বলেছিলেন, '' ক্রিটের সকল নাগরিক মিথ্যাবাদী '' তার এই কথা যদি সত্য হয় তাহলে তিনি  নিজেও মিথ্যাবাদী কেননা তিনিও ক্রিটের নাগরিক। আবার তার কথা যদি মিথ্যা হয় তাহলে ক্রিটের সকল নাগরিক মিথ্যাবাদী নয়। তাহলে তিনিও মিথ্যাবাদী নন। কারণ তিনিও ক্রিটের বাসিন্দা। কিন্তু তিনি যদি সত্যবাদী হন তাহলে তার কথাটা মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ তিনি আবার মিথ্যাবাদী হয়ে যাচ্ছেন।


    হ্যাঁ-না প্যারাডক্স

    কিছু ব্যতিক্রমী প্রশ্ন রয়েছে যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দিয়ে দিলে প্যারাডক্স তৈরি হয়। কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ''আপনি কি এখনো ঘুষ খান?''


    তিনি যদি ঘুষ না খেয়ে থাকেন তাহলে, তিনি অবশ্যই 'না' বলবেন। তাহলে ব্যাপারটা এমন হয়ে যাবে যে, তিনি আগে ঘুষ খেতেন কিন্তু এখন খান না! 


    বুরিডানের গাধা

    বুরিডান নামের এক ব্যক্তি তার এক ক্ষুদার্থ গাধাকে এক জায়গায় নিয়ে গেল যেখানে তার দুইপাশে সমান দুরত্বে দুটি খড়ের স্তুপ রাখা আছে। পরিমা্‌ রূপ, গন্ধের দিক থেকে একই মনে হচ্ছে। গাধাটি দুটি স্তুপের মধ্য থেকে কোনটি থেকে খাবে তা বুঝতে পারবে না। অবশেষে, ভাবতে ভাবতে না খেয়ে মারা যাবে!


    বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্স

    বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্সটি টাইম ট্রাভেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ যদি সম্ভব হয়, তাহলে এক জটিলতার সৃষ্টি হবে যাকে নিয়েই এই বুটস্ট্র‍্যাপ প্যারাডক্স তৈরি হয়েছে।


    কেউ একজন কোনো বইয়ের দোকান থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ''গীতাঞ্জলী'' বইটির একটি কপি কিনলেন এবং টাইম ট্রাভেল করে অতীতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দিলেন। তখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ''গীতাঞ্জলী'' রচনা করেননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইটি পাওয়ার পর, তা নিজের নামে প্রকাশ করে দিলেন। এভাবেই চলতে থাকলো, সবাই জানল, 'গীতাঞ্জলী' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছে। কিন্ত আসলে তো তিনি সেটা লেখেননি। তাকে সেটা দেওয়া হয়েছে। তাহলে বইটা কে লিখেছে?


    হ্যাংম্যান প্যারাডক্স

    একজন ফাঁসির আসামিকে বলা হলো, সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে যেকোন এক দিন তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। তবে ঠিক কোনদিন হবে তা তাকে জানানো হবে না। কয়েদি চিন্তা করে দেখলেন  তাকে শুক্রবারে ফাঁসি দেওয়া যাবে না, কারণ তিনি যদি বৃহস্পতিবারে বেঁচে যান, তাহলে জেনে যাবেন যে তাকে শুক্রবারে ফাঁসি দেওয়া হবে। কিন্তু বলা হয়েছে তিনি তার ফাঁসির দিনটি জানবেন না। আবার তাকে বৃহস্পতিবারেও ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয়, কেননা তিনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, শুক্রবারে তার ফাঁসি হবে না। তাহলে বুধবারেই তিনি বুঝে যাবেন যে বৃহস্পতিবারেই তার ফাঁসি হবে। এভাবে একই নিয়মে তিনি দেখতে পেলেন, সোম থেকে শুক্র কোন দিনই তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো সম্ভব নয়।


    রেস্টুরেন্ট প্যারাডক্স

    একটা রেস্টুরেন্ট এ কেউ যায়না কারণ সেখানে ভিড় থাকে। তাহলে ভিড়ের কারণে  কেউই  যদি না যায়, তাহলে ওই ভিড় ওখানে আসে কোত্থেকে? 


    টুইন প্যারাডক্স

    টুইন প্যারাডক্স টি বিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

    দুই জমজ ভাইয়ের মধ্যে একজন যদি স্পেসশিপে করে মহাকাশে আলোর বেগে ছুটতে থাকেন। আর অপরজন যদি পৃথিবীতেই থাকেন। তাহলে মহাকাশ থেকে যখন একজন ৩ বছর পর ফিরে আসবেন তখন তিনি তার সময়ের সাপেক্ষে  ৩ বছর কাটাবেন। রওনা হওয়ার সময় যদি তার বয়স ১৮ বছর হয় ফিরে আসার সময় তার বয়স তিন বছর বেড়ে ২১ হলেও, ফিরে এসে দেখবেন তার ভাই পৃথিবীতে বৃদ্ধ হয়ে গেছে


    কার্ড প্যারাডক্স

    কোনো ব্যক্তির কাছে একটা কার্ড দেওয়া হলো যার, এক পাশে লেখা, '' অপর পাশে যা লেখা আছে সেটা সত্য।'' এটাকে 'ক' ধরা যাক। ঐ ব্যক্তি কার্ডটি উলটে অপর পাশে দেখলেন লেখা আছে, '' অপর পাশে লেখাটি মিথ্যা।'' এটাকে 'খ' ধরা যাক। এখন 'ক' লেখা যদি মিথ্যা হয় তাহলে 'খ' লেখাটি মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে। কারণ 'ক' তে লেখা ছিল যে,  অপর পাশে (খ) যা লেখা আছে সেটা সত্য।  আবার 'খ' লেখাকে মিথ্যা ধরলে, 'ক' লেখা সত্য হয়ে যাচ্ছে। কারণ 'খ' অংশে লেখা ছিল যে, অপর পাশে (ক) লেখাটি মিথ্যা।








    আমরা যারা শহর থেকে একটু দূরে গ্রামাঞ্চলে থাকি তাদের জন্য সবচেয়ে ভোগান্তির বিষয় হলো ইন্টারনেট। গ্রামের দিকে ইন্টারনেট সুবিধা একেবারে অপ্রতুল। থাকলেও তার গতি এতটাই কম যে কোন কাজ করতে নিলে অনেক অসুবিধায় পরতে হয়। গ্রামের দিকে ইন্টারনেট অপ্রতুলতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এই কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা কারণ হলো অবকাঠামোগত দূর্বলতা।


    অবকাঠামোগত দূর্বলতা থাকার কারণে গ্রামের দিকে ইন্টারনেট সুবিধা এখনো ব্যাপকভাবে প্রসার করা সম্ভব হয়নি। এ অসুবিধা কাটিয়ে ওঠার জন্য টেসলা কোম্পানি সিইও ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যায় নাম হলো স্টারলিংক। 


    বিজ্ঞান এবং মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী কিন্তু ইলন মাস্ক এর নাম শোনেনি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুঃস্কর। এই ইলন মাস্ক-ই আমাদের ইন্টারনেটের গতির দুর্দশা কমাতে নতুন একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। এর নাম "স্টারলিংক" প্রজেক্ট! এর বদৌলতে আমরা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারি।


    স্টারলিংক কী? এর সুবিধা ও অসুবিধা


    স্টারলিংক কী?

    স্টারলিংক হলো একটি প্রজেক্ট যার মাধ্যমে মহাকাশে লো-অরবিট স্যাটেলাইট পাঠিয়ে এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হবে। বর্তমানে অবশ্য অনেক কোম্পানি জিও-স্টেশনারী স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সেবা প্রদান করে থাকে। স্টারলিংক এর এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য মহাকাশে প্রায় ৪২,০০০ এর মতো স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। তবে এই স্যাটেলাইট গুলো লো-অরবিট স্যাটেলাইট। অর্থাৎ এগুলো পৃথিবীর খুব কাছে থেকে পৃথিবীকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করবে।


    জিও স্টেশনারী স্যাটেলাইট গুলো পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫৮০০ কিলোমিটার উপরে স্থির থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। আর স্টারলিংকের এই লো-অরবিট স্যাটেলাইট গুলো মাত্র ৫৪০ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার উপরে থাকবে। 


    স্টারলিংক প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্য কী?

    স্টারলিংক প্রজেক্ট এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্লোবাল কানেক্টিভিটি। একইসাথে হাই-স্পিড এবং লো-ল্যাটেন্সি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি নিশ্চিত করাও এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এর ফলে স্টারলিঙ্ক বর্তমানের অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটির সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।


    স্টারলিংক প্রজেক্টের সুবিধা কী?

    স্টারলিংক এর স্যাটেলাইট গুলো পুরো পৃথিবীকে জালের মতো ঘিরে ফেলবে এবং এর ফলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেকোনো জঙ্গলের ভিতর থেকেও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। এটি হাই-স্পিড এবং লো ল্যাটেন্সী ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। এখন আমরা অনেকেই বুঝতে পারছিনা যে এই ল্যাটেন্সী টা আবার কী জিনিস।


    ল্যাটেন্সী কী?

    ল্যাটেন্সী হচ্ছে একটা ডিভাইসের সাথে আরেকটা ডিভাইসের রেসপন্স করতে কত সময় লাগে তার পরিমাপ। ল্যাটেন্সী কম হলে সার্ভারের সাথে অতি দ্রুত যোগাযোগ করা যায়, একে লো ল্যাটেন্সী বলে। আর ল্যাটেন্সী বেশি হলে সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করতে বেশি সময়। অনলাইন ভিডিও গেইম খেলার সময় লো ল্যাটেন্সী বেশি প্রয়োজন হয়।


    স্টারলিংক কীভাবে কাজ করবে?

    বর্তমানে কিছু কিছু কোম্পানি ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য জিও-স্টেশনারী স্যাটেলাইট ব্যবহার করে, যা অনেক দূরে থাকে। দূরত্বের জন্য সিগন্যাল যাওয়া-আসা করতে অপেক্ষাকৃত বেশী সময় লাগে। এর ফলে নেটওয়ার্ক স্পিড কমে যায় এবং ল্যাটেন্সী বৃদ্ধি পায়। এই স্টারলিংক প্রজেক্ট এর স্যাটেলাইট গুলো লো-অরবিট স্যাটেলাইট হওয়ায় এগুলো পৃথিবীর কাছাকাছি থাকবে ফলে সিগন্যাল তাড়াতাড়ি যাবে, নেটওয়ার্ক স্পিড বাড়বে এবং ল্যাটেন্সীও কম থাকবে। আবার, জিও স্টেশনারী স্যাটেলাইট গুলোতে কানেকশনের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এতে করে আলো অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় এর গতি অনেকটা কমে যায়। অপরদিকে স্টারলিংক স্যাটেলাইট এ ব্যবহৃত হবে লেজার লাইট এবং বায়ু মাধ্যম, ফলে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইটের মতো এখানে গতি কমে যাবে না। এখানে আলো তার পূর্ণ গতিতে চলতে পারিবে ফলে ডেটা আদান-প্রদানের গতিও বৃদ্ধি পাবে।


    স্টারলিংক ইন্টারনেট এর দাম কত?

    বর্তমানে স্টারলিংক এর দুইটা প্যাকেজ রয়েছে। একটার দাম প্রতি মাসে ৯৯ ডলার এবং অন্যটির দাম প্রতি মাসে ৫০০ ডলার। ৯৯ ডলারের প্যাকেজ দিয়ে কেবলমাত্র একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে ৫০০ ডলারের প্যাকেজ দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। 


    স্টারলিংক এর সীমাবদ্ধতা কী?

    স্টারলিংক স্যাটেলাইট গুলো আকাশকে ঘিরে ফেলায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে সমস্যা হতে পারে। এবং রেডিও সিগন্যাল আদান প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে।








    আমাদের প্রায়ই হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত লোককে মেসেজ পাঠাতে হয়। যার জন্য আমাদের অপরিচিত নাম্বার কোনো দরকার ছাড়াই মোবাইলে সেভ করতে হয়। কারণ হোয়াটসঅ্যাপে শুধু সেই নাম্বারেই আমরা মেসেজ বা কল করতে পারি, যে নাম্বার গুলো আমাদের মোবাইলে আগে থেকেই সেভ করা আছে।


    কিন্তু বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে এমন কিছু সুবিধা আছে যে, নাম্বার সেভ করেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো যাবে।


    নাম্বার সেভ না করেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানোর উপায়


    মোবাইল নাম্বার সেভ না করে কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ পাঠানো যায়?

    মোবাইল নাম্বার সেভ না করে হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ পাঠানোর জন্য-

    ১। এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ টি লেটেস্ট ভার্শনে থাকতে হবে। তাই প্রথমে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাপ টি গুগল প্লে-স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ-স্টোর থেকে আপডেট করে নিতে হবে।


    ২। হোয়াটসঅ্যাপ লেটেস্ট ভার্শনে আপডেট করার পর মোবাইলের যে কোনো একটি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। যেমনঃ গুগল ক্রোম। 


    ৩। ব্রাউজার ওপেন করার পর অ্যাড্রেস বারে নিচের লিংকটি টাইপ করতে হবে। "https://wa.me/Number

    উদাহরণ - "https://wa.me/0120000000"


    ৪। উপরের লিঙ্কটির শেষে যেখানে নাম্বার লেখা আছে, সেখানে ওই নাম্বার এর জায়গায় যার নাম্বার সেভ না করে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাতে হবে ওই নাম্বার দিয়ে সার্চ করতে হবে।


    ৫। লিংকটি ওপেন হওয়ার সাথে সাথে অটোম্যাটিক্যালি মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে যাবে। এবং যে নাম্বার দিয়ে ওই লিংকটি ক্লিক করা হয়েছে ওই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের চ্যাট খুলে যাবে। 


    একই ভাবে কম্পিউটারেও নাম্বার সেভ না করেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো যাবে, তবে এই জন্য কম্পিউটারেও হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়ার ইন্সটল থাকতে হবে। 


    উপরের এই পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই হোয়াটসঅ্যাপ থেকে যেকোনো নাম্বার এ মেসেজ করা যাবে কোনো অপরিচিত নাম্বার সেভ করার প্রয়োজন হবে না।








    আমাদের বাস্তব জীবনে উপস্থিত বুদ্ধি অনেক কাজে আসে। একটু উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করলেই আমরা অনেক বড় বড় বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে পারি।তাছাড়া বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ তে উপস্থিত বুদ্ধি অনেক কাজে লাগে। কীভাবে উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানো যায় এবং উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর উপায় নিয়েই আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে।


    কীভাবে উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানো যায়? উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর উপায়


    অনেকের মাঝে উপস্থিত বুদ্ধি জিনগত এবং পরিবেশগত ভাবে প্রাপ্ত হয়। আশেপাশের অনেক মানুষ দেখা যায় যারা উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অনেক কাজ হাসিল করছেন। তারা হয়তো উপস্থিত বুদ্ধি জিনগত ভাবে পেয়েছেন, কিন্তু চেস্টা করলে উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোও সম্ভব। এটা সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া।কারো ধৈর্য্য থাকলে উপস্থিত বুদ্ধি না থাকলেও সে সেটা অর্জন করতে পারবে। এজন্য তার মস্তিষ্ককে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। উপস্থিত বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য যা যা করতে হবে তা হলোঃ


    ১। বিভিন্ন ধরণের ব্রেইন গেইমস খেলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের দক্ষতা বাড়াতে হবে। যেমন দাবা খেলা। দাবা খেলা মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়।


    ২। নতুন কিছু শেখার কোনো বিকল্প নেই। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন সেল বাড়ে। আর ব্রেইনের অসংখ্য সেলের মধ্যে কানেকশন তৈরী হয়।যা মস্তিষ্কের মনে রাখার ক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়। এর জন্য আপনি বই পড়তে পারেন, নতুন ভাষা শিখতে পারেন, প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন, অথবা গিটার শিখতে পারেন।


    ৩। গবেষণায় দেখা গেছে নতুন ভাষা শেখার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইনের কিছু অব্যবহৃত অংশ কর্মক্ষম হয়। কথা বলার সময় কোনো উত্তর মাথায় আসলেও আমরা ঠিকমত বলতে পারি না, বা উত্তর অগোছালো হয়, কারণ আমাদের ব্রেইন Translate করতে পারে না। এইগুলো যথাক্রমে ব্রেইনের BROCA'S AREA এবং WERNEK'S AREA এর কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে হয়ে থাকে। নতুন কিছু শেখা, নতুন কিছু পড়া, নতুন অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে আমাদের ব্রেইনের এই অংশ গুলো সক্রিয় করে তুলতে হয়।


    ৪৷ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন এন্ডোরফিন রিলিজ করে যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মন ভালো থাকলে আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সহজেই দিতে পারি।তাছাড়া ব্যায়াম এর মাধ্যমে আমাদের নিউরন সেল বৃদ্ধি পায় যা আমাদেরকে বিভিন্ন জিনিস মনে রাখতে সাহায্য করে। ব্রেইন কে সক্রিয় রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে।


    ৫। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের চিন্তাশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ঘটনা ও ফিড আমাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা আমাদের critical thinking এর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই যথা সম্ভব কম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। কেননা এটা আমাদের ব্রেইন কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেস্ট।


    নতুন কিছু শিখতে হবে, নতুন কিছু জানতে হবে, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে। মনে রাখতে হবে উপস্থিত বুদ্ধি এমনিতেই অর্জন করা সম্ভব নয় তা, নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সম্ভব।